কাবুলে প্রাতঃরাশ, লাহোরে মধ্যাহ্নভোজ, দিল্লিতে বিকেলের নাস্তা আর ঢাকায় রাতের খাবার – শুধু বিশ্বাস আর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে এমন সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের তথ্য এটি।
ঢাকায় রিপোর্টটির বৈশ্বিক সংস্করণ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ’৪৭ সালের আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া হয়তো সম্ভব নয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
আমদানি-রপ্তানি মিলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বছরে ৮৫ বিলিয়ন ডলার, টাকার অংকে প্রায় সোয়া ৭ লাখ কোটি। কিন্তু প্রতিবেশী ৭ দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের সঙ্গে বছরে বাণিজ্য মাত্র সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার, ৬০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
অথচ দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সাফটার আওতায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ভারতে বিনা শুল্কে পণ্য বেচতে পারে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ সীমান্ত থাকার পরও দুই দেশের মধ্যে বৈধ পথে মাত্র ১৭ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। অথচ সম্ভাবনা রয়েছে কমপক্ষে সোয়া ৩ লাখ কোটি টাকার বাণিজ্যের।
‘আ গ্লাস হাফ ফুল: দ্য প্রমিজ অব রিজিওনাল ট্রেড ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক রিপোর্টটি সার্ক অঞ্চলে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে আশা অর্থমন্ত্রীর।
এর মাঝে শুল্ক, অশুল্ক বাধা, সন্দেহ, অবিশ্বাস – এত নেতিবাচক চলকের মধ্যেও আশা জাগানিয়া দৃষ্টান্ত রয়েছে বলে মনে করেন প্রাণ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান এইচ চৌধুরী।
ভারতের ৩৪ রাজ্যের মধ্যে ১০টি রাজ্যে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে প্রাণের পণ্য। সরাসরি ট্রাক চলাচলের অনুমতি পেলে অচিরেই পুরো ভারতের ভোক্তাবাজারে বড় দখল নেয়া সম্ভব, এমন আশা তাদের।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে: