ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার কমতি নেই দক্ষিণবঙ্গে। তবে বরিশাল অঞ্চলের অনেক জায়গায় রাজাকারের সন্তানরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ পাওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী। এই ইস্যুতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা সুযোগ পাচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে বেশ কিছু ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি।
২২ মার্চ প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে চলছে নির্বাচনী উৎসব। উৎসবের কমতি নেই বরিশাল অঞ্চলের সবকটি ইউপিতে। তবে নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে, এলাকায় এলাকায় নির্বাচনী সংঘাতও ততো তেঁতে উঠছে। এরইমধ্যে নির্বাচনী সংঘাতে মারা গেছে ৪ জন। বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার ৩৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।
এ অঞ্চলে বেশিরভাগ ইউপিতে সরকারী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। বেতাগী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে রাজাকারের সন্তানদের নৌকা দেওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে এলাকার ভোটারদের। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর ভিতরে ৭১ সালের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বেতাগী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী বলেন, এই উপজেলার কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার বজলুর রহমান তার ছেলে নজরুল ইসলামকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে।
ভোটাররা বলছে, তার বাবা ছিলো একজন কুখ্যাত রাজাকার আমরা তাকে ক্যামনে করে নৌকা মার্কায় ভোট দিই।
বরিশাল বিভাগের আরেক উপজেলা বাবুগঞ্জ। তার এক ইউনিয়ন দেহের গতি। সেখানকার চিত্রও অনেকটা বিচিত্র। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সমর্থন না দিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর জন্য মিটিং মিছিল করছেন। তবে ওই ইউনিয়নে বিএনপির কোনো প্রার্থী নাই।
ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী বলেন, সে বার বার পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করে। এখানে সব দল আছে; আমি দল মত নির্বিশেষে আমি একজন প্রার্থী।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, তাদের কোন কর্মী নাই কিন্ত তারা অবৈধ টাকা দিয়ে লোক এবং কর্মী কিনে নেয়। বিভিন্ন কর্মীকে ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলে।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ২৭১ টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র একটিতে প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি নির্বাচন করছে। তবে, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন দলের প্রার্থীরা আছেন বেশির ভাগ ইউপিতে।