ঘুষ না দেয়ায় আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগে যশোর সদর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাইকোর্ট। এরা হলেন-এসআই নাজমুল হাসান এবং এএসআই হাদিবুর রহমান।
আগামী ২৫ জানুয়ারি তাদের স্বশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই দিন নির্যাতনের শিকার আবু সাঈদকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
দুই পুলিশকে তলবের পাশাপাশি বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ যশোরের পুলিশ সুপারকে(এসপি) ঘটনাটি তদন্ত করে আগামী ৩০দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
এছাড়াও নির্যাতনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে ব্যাপারে সরকার ও পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন আদালত।
গত ৬ জানুয়ারি একটি দৈনিকে ‘ঘুষ না পেয়ে থানায় যুবককে ঝুলিয়ে পেটাল পুলিশ’ খবর প্রকাশের পর আজ আদালত এই রুল জারি করলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তিকে সাদা পোশাকের পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। শুক্রবার তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করে কোতোয়ালি মডেল থানার দুই পুলিশ। টাকা দিতে অস্বীকার করলে থানার ভেতর সাঈদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে নির্যাতিতকে পায়ের সাথে হাত বেঁধে দুই টেবিলের মাঝখানে একটি লাঠিতে ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়। সাঈদের মা ও ভাই ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনে বলেও ওই প্রতিবেদনের জানানো হয়।