বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় তীব্র খাদ্য সংকটে জংলী
আলু-কচু খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর জন্য ৪৬ মেট্রিক টন চাল পাঠানো হয়েছে।
বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার করে চাল পাঠানো হয় থানচি উপজেলার তিন্দু ও
রেমাক্রি ইউনিয়নে।
আজ রোববার এই দু’টি ইউনিয়নে জরুরি ভিত্তিতে ৭ মেট্রিক টন
করে চাল পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরুতে ১৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয় তবে অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এই বরাদ্দ আরও ৩০ মেট্রিক টন বাড়ানো হয়। আগামী সোম-মঙ্গলবার নাগাদ তীব্র খাদ্যাভাবে থাকা ২ হাজার ৩’শ টি পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হবে। এছাড়া আরও ২’শ ৪৬ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে।
গত বছরে প্রচুর বৃষ্টিতে জুমের ফলন ভালো না হওয়ায় থানচির দুর্গম এই এলাকার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষ চলতি মার্চ থেকেই খাদ্যাভাবে পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, দুর্গম পাহাড়ে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায় জুম চাষ। গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে অনেকেই জুম চাষ করতে পারেনি। যারা করেছে ভালো হয়নি ফসল, যার কারণে দেখা দিয়েছে এ খাদ্য সঙ্কট।
চাল না থাকায় রেমাক্রি ও তিন্দুতে অভাবি মানুষরা বুনো আলু, ফলমূল, কলার মোচা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়।
খাদ্য সঙ্কটের এ চিত্র শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন, পত্রপত্রিকাসহ টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।