চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

থাই-বাংলাদেশি কমিউনিটি পাতায়ার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত…

বাঙালির মননে অনন্য মহিমায় ভাস্বর একুশে ফেব্রুয়ারি। ইতিহাসের পাতায় রক্ত পলাশ হয়ে ফোটা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর, আউয়াল, অহিউল্লাহর রক্তে রাঙানো অমর ২১ ফেব্রুয়ারি। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

দিনটি স্মরণে সারা বিশ্বের মতো থাইল্যান্ডেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান ভাষা দিবস পালন করেছেন থাইল্যান্ড পাতায়ার বাংলাদেশিদের রেজিস্ট্রি সংগঠন থাই-বাংলাদেশি কমিউনিটি পাতায়া।

রবিবার শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের নেতারা। পরে পাতায়া ইউনিক রিজেন্সি হোটেলের হল রুমে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় পবিত্র কোরআন তেলোয়াত পরিবেশন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ড পাতায়ার ডেপুটি মেয়র রনাকিথ একাসিং, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ড চনবুরি প্রভিনসিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অরগানাইজেশন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান নাখন পোন লুকিন ও লিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থাই-বাংলাদেশি কমিউনিটি পাতায়া এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন, কমিউনিটির বর্তমান সভাপতি জনাব আব্দুল আলীম (মোল্লা), সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান শামীম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালের এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দূর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত সহ নাম না জানা অনেক ভাষা শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতী পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আত্ম-রাজনৈতিক প্রেরণা। বাঙালি একমাত্র জাতী যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। মায়ের ভাষার জন্য যে অকুতোভয় বীরসন্তানরা জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই মৃত্যুঞ্জয়ী বীর সন্তানদের গভীর বেদনা ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বক্তারা।

কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ইতিহাসে মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের জন্য মডেল। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান।

কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত একুশের অনুষ্ঠানে স্পন্সর হওয়ায় সুমনা গ্রুপ, লিয়া দীপ্ত গ্রুপ এবং ইউনিক রিজেন্সিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভবিষ্যতেও কমিউনিটির যেকোন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাদের পাশে পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। সবশেষে ছিলো মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।