২৪ জুন। পৃথিবী নামক এই গ্রহ তার অন্যতম সেরা সম্পদকে পেয়েছিল। এই দিনে আর্জেন্টিনার রোজারিওতে এসেছিলেন ফুটবলের খুদে জাদুকর লিওনেল মেসি। ইতিমধ্যে এই গ্রহে তিনি ত্রিশটি শীত-বসন্ত পার করে ফেলেছেন। এমন দিনে তার জীবনের ত্রিশটি বিশেষ দিক নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের এই আয়োজন।
১. মে মাসের ১ তারিখ, ২০০৫। বার্সেলোনা সিনিয়র টিমের হয়ে প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ আলাবেস্তে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সার হয়ে অভিষেক হয় মেসির।
২. ইউরোপিয়ান কাপ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলের মালিক। শতক হতে বাকি আর মাত্র ৬টি গোল। তার আগে আছেন কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সিআর সেভেন ইউরোপিয়ান আসরগুলোতে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন গত মৌসুমে।
৩. গোলে হ্যাটট্রিক। বার্সার হয়ে ক্ষুদে জাদুকরের হ্যাটট্রিক সংখ্যা ৩৭টি।
৪. চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন মেসি। সবই ‘প্রিয়’ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে। ৮টি লা লিগাও আছে সেই তালিকায়।
৫. গোল করেছিলেন বায়ার্ন লেভারকুসেনের বিপক্ষে ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোন ম্যাচে ৫ গোলের রেকর্ড আছে শুধু লুইস আদ্রিয়ানোর।
৬. ছয়টি ভিন্ন আসরে গোল করেছিলেন মেসি, ২০১১ সালে। ২০১৫ সালেও একই রেকর্ড গড়েন খুদে জাদুকর।
৭. চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিকের সংখ্যা। রোনালদোর সঙ্গে আছেন যুগ্মভাবে সবার উপরে।
৮. টানা আট মৌসুমে ৪০ বা তার বেশি গোল করেছেন।
৯. নয়টি গোল কম ছিল একমাত্র ফুটবলার হিসেবে এক মৌসুমে ১০০ গোল পূর্ণ করার। ২০১২ সালে মেসির গোলসংখ্যা ছিল ৯১টি।
১০. মেসির বিখ্যাত জার্সি নম্বর। বার্সেলোনায় ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯ নম্বর জার্সি পরে। রোনালদিনহো কাতালান ক্লাব ছাড়ার পর ১০ নম্বর জার্সিটি একপ্রকার নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন মেসি।
১১. এই বয়সে নানিকে হারিয়েছিলেন। তার মেসি হয়ে ওঠার পেছনে এই মানুষটির অবদান কখনো ভোলেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তার সেই বিখ্যাত হাত উঁচিয়ে গোল উদযাপন স্বর্গবাসী নানিকে উৎসর্গ করেই।
১২. আর্জেন্টিনার হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যা। অবশ্য গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাও আছেন তার সঙ্গে।
১৩. এই বয়সে আর্জেন্টিনা ছেড়ে বার্সেলোনায় পাড়ি দিয়েছিলেন।
১৪. সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মেসির গোলসংখ্যা।
১৫. এক লা লিগা মৌসুমে সর্বোচ্চ অ্যাওয়ে গোল মেসির। ঘরের মাঠে ১৬ গোলের রেকর্ডও তার দখলে।
১৬. ১৬ বছর ৪ মাস ২৩ দিন বয়সে বার্সার হয়ে প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেমেছিলেন মেসি। প্রতিপক্ষ ছিল মরিনহোর পোর্তো। মাত্র ১৫ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি।
১৭. স্প্যানিশ সুপার কাপে মেসির গোল। প্রতি মৌসুমেই এর সমান বা বেশি গোল করেছেন তিনি।
১৮. এই বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসির প্রথম গোল। প্যানাথিনাইকোসের বিপক্ষে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চোখজুড়ানো গোলটি করেছিলেন।
১৯. এতটি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লা লিগায় গোল করা একমাত্র ফুটবলার হলেন মেসি।
২০. ছয়টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২০ কিংবা তার বেশি করে গোল করেছেন।
২১. সম্প্রতি কর ফাঁকির জন্য জরিমানা দিয়ে ২১ মাসের জেলের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
২২. এই বয়সে প্রথম ব্যালন ডি অর হাতে ওঠে মেসির। ২০০৯ সালে রেকর্ড-সংখ্যক ভোট পেয়ে বর্ষসেরা হয়েছিলেন তিনি।
২৩. এই পরিমাণ গোল করেছেন এল ক্লাসিকোয়। যা রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর থেকে ৫ গোল এবং রোনালদোর থেকে ৭ গোল বেশি।
২৪. ওই বয়সেই বার্সেলোনার সর্বকালের সেরা গোল স্কোরার হয়েছিলেন।
২৫. এখন পর্যন্ত ২৫টি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছেন।
২৬. সেই ২৫ ফাইনাল থেকে গোল করেছেন ২৬টি।
২৭. এতটি গোল করেছেন ফ্রি-কিক থেকে।
২৮. ২৮তম জন্মদিনের চারদিন আগে সাউথ আমেরিকার সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ১০০র বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন।
২৯. সেভিয়ার জালে তার গোলসংখ্যা। ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি গোল পেয়েছেন আর্সেনালের বিপক্ষে।
৩০. ২৪ জুনে ত্রিশময় তিনি।