চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে খেলায় ফিরবে মেয়েরা

জানুয়ারিতে জাতীয় লিগ

আসছে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। সালমা-রুমানাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরার অপেক্ষাও খুব দীর্ঘ হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে নতুন বছরে মেয়েদের ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

শ্রীলঙ্কা, উইন্ডিজ ছাড়াও সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিসিবি। তিন দেশ থেকেই মিলেছে ইতিবাচক সাড়া। বিসিবি পরিচালক ও উইমেন্স উইং চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে মাঠে গড়াবে সিরিজটি।

‘আমরা তিনটি দেশের সঙ্গে কথা বলেছি, অর্থাৎ মেইল দিয়েছি এবং তারা জবাব দিয়েছে। আমরা ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে হতে পারে, আমাদের আশেপাশের দেশেও হতে পারে, এবং সেটি ইতিবাচকভাবে হবে বলেই আমি আশাবাদী।’

‘শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা সাউথ আফ্রিকা আসতে পারে। এ মুহূর্তে বলা মুশকিল সিরিজটা কখন হবে। ওদের কথা হল আমরা আসতে চাই, কিন্তু পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। মাস ছয়েকের মধ্যে সিরিজটি আমরা খেলতে চাচ্ছি।’

গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আসার পর থেকেই করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেট। স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বকাপ বাছাই। মিরপুরসহ বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু হলেও বিসিবির অধীনে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি টিম টাইগ্রেস। নভেম্বরে জাতীয় লিগ শুরুর ভাবনা ছিল, সেটিও দুই মাস পিছিয়ে গেছে।

শফিউল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে আসরটি, ‘বিসিবির অধীনে ছেলেদের ক্রিকেট আস্তে আস্তে শুরু হয়েছে। জাতীয় লিগ যেহেতু বিসিবির সরাসরি তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে, আমাদের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে লিগ শুরু করে আবার নারী ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর। আমরা গ্রাউন্ডস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে জানিয়েছি যে, আমরা এই সময় টুর্নামেন্ট করতে চাই। ওনারা যে মাঠ আমাদের বরাদ্দ দেবেন, সেখানেই লিগের ম্যাচ হবে।’

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল

জুলাইতে শ্রীলঙ্কায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব দিয়ে মাঠে ফেরার কথা ছিল রুমানা-সালমাদের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নামা হয়নি।

টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে মার্চে মেয়েদের প্রধান কোচ অঞ্জু জৈনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিসিবি। কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ বাড়ায়নি বোর্ড। হেড কোচ, সহকারী কোচ, ট্রেনার, ফিজিও সবাই ছিলেন ভারতীয়।

জাতীয় লিগ শুরুর আগেই সালমা-রুমানাদের জন্য নতুন কোচ নিয়োগ দেবে বিসিবি। জুলাইয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়, পরে এতদিনেও কেনো কোচ পাওয়া গেল না সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন উইমেন্স উইং প্রধান।

‘মাঠে খেলা নেই, কাজ নেই। এটা অন্যতম একটা কারণ। ঘাড়ের উপর যদি চাপটা থাকত তাহলে দ্রুততম সময়েই হয়ে যেত। আরেকটা বিষয় হল করোনার কারণে অনেক কোচই বিদেশ ভ্রমণ করতে চায় না। এখন আপনি একজন কোচ নেবেন, অন্যান্য কোচিং স্টাফ নেবেন, তিনি তো আপনাকে সাক্ষাতকার দেবেন, প্রেজেন্টেশন দেবেন।’

‘আরেকটা জিনিস, জাতীয় দলের জন্য তো ভালো মানের কোচই নিতে হবে। বোর্ডেরও কিছু চিন্তাভাবনা আছে। কিছুদিন পরপর তো আর কোচ বদলাতে পারবো না। বারবার কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে পারবেন না, একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্যই সময় লাগছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে হেড কোচ ও অন্যান্য কোচিংস্টাফ নিয়োগ হয়ে যাবে। জানুয়ারির জাতীয় লিগে তারা মাঠে থাকবেন।’