সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত আলেপ্পো শহরে জীবন রক্ষাকারী জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে সিরিয়া সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তাফান দি মিসতুরা জানিয়েছেন, ত্রাণবাহী লরি প্রবেশের অপেক্ষায় সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে অপেক্ষা করছে।
আলেপ্পোতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। শহরটিতে সর্বশেষ জরুরি সহায়তা পৌঁছেছিলো গত জুলাইয়ে। ২ মাস ধরে বিচ্ছিন্ন শহরটিতে ত্রাণ পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। তাই সিরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ সব পক্ষকে সে কথাটি আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের পর বৃহস্পতিবার সংস্থাটির বিশেষ দূত স্তাফান দি মিসতুরাও ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
২০টি লরি ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সিরিয়া সীমান্তে তুরস্কের শহর সিলভেগোজুতে আটকে আছে। সাহায্য পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে মূল বাধা হলো ক্যাস্টেলো রোড নামের ‘মৃত্যু পথ’ হিসেবে পরিচিত এক সড়ক। এটিই আলেপ্পোর যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছানোর একমাত্র রাস্তা হলেও সড়কের দু’পাশে ধ্বংসযজ্ঞ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মরদেহ, গোলাবারুদ আর বিধ্বস্ত বাড়িঘরের কারণে ত্রাণকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে রীতিমতো আতঙ্ক ক্যাস্টেলো রোড।
রাশিয়া জানিয়েছে, ত্রাণবাহী লরি প্রবেশের জন্য এরই মধ্যে সেনা স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে সিরিয়া। তবে সরকারি বাহিনী রাস্তা ছেড়ে দিলেও বিদ্রোহীদের হামলা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির শর্তভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। রুশ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, শুধুমাত্র সরকারি বাহিনীর বন্দুকই শান্ত আছে। আর তার সুযোগ নিচ্ছে বিদ্রোহীরা।
আবার যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, বিদ্রোহীদের একটি অংশ শর্ত ভঙ্গ করেছে ঠিকই, তবে সিরীয় সরকারি বাহিনীও যুদ্ধবিরতি মেনে চলছে না।