দেশি বিদেশি বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে পাওয়া ত্রাণের লোভেই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ছেড়ে মিয়ানমারে যেতে চাইছেন না বলে মনে করছেন কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে থাকার অবস্থান শক্ত করে তুলছে।
টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়,আনুমানিক ২৫ বছর বয়সের রোহিঙ্গা যুবক গত ২ বছর ধরে বাংলাদেশে বাস করছেন। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা হাজারও যুবকদের মাঝে তিনি একজন।
দেহে শক্তি সামর্থের কমতি না থাকলেও তিনি এবং তার ৬ সদস্যের পরিবার পুরোটাই চলছে বিভিন্ন এনজিওর দেয়া ত্রাণের ওপর। তাই বলতে গেলে কোন কাজ করতে হচ্ছে না তাকে।
গত প্রায় ২ বছর ধরেই তালিকা করে প্রতি পরিবার প্রতি ১৫ দিন পর পর ৩০ কেজি চাল, ৩ কেজি তেল, ৮ কেজি ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিনামূল্যে রোহিঙ্গাদের দেয়া হচ্ছে। কোন কোন রোহিঙ্গা আবার এসব ত্রাণ নিয়ে ব্যবসাও করছে।
স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন বিনামূল্যে পাওয়া এসব সুবিধার কারণেও অনেক রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফিরতে চাইছেন না।
বিনামূল্যে পাওয়া ত্রাণের সাথে সাথে উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবিকা নির্বাহ করার অনেক মাধ্যমের উপরও রোহিঙ্গারা ভাগ বসাতে শুরু করেছে।