ঈদকে সামনে রেখে নানা প্রস্তুতির পাশাপাশি, ত্বকের যত্নআত্তি করতে হবে এখন থেকেই। কারণ, ত্বকের যত্ন হঠাৎ করে নয়, বরং একটু সময় নিয়েই করতে হয়। এক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন চিকিৎসকের কিছু পরামর্শ—
- ত্বকের সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে। তবে যারা বয়সন্ধিকাল পার করছেন অথবা তরুণ, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও বেশি হয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে সব সময়। সারা বছরের চেয়ে রোজায় একটা নির্দিষ্ট সময়ে অনেক বেশি ভাজা পোড়া খাওয়া হয়। সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে, এটা একেবারে কম খেতে হবে।
- রোজা ভাঙ্গার পর পানি খাবেন অনেক বেশি। তাহলে ব্রণ থেকে অনেকটা মুক্তি আসবে। এছাড়া যাদের ত্বক তেলতেলে তারাও এই গরমে এবং রোজা রেখে বারবার মুখ ধোবেন। তাহলে দেখা যাবে ময়লা জমবে কম এবং লাবণ্যতাও খুব বেশি হারাবেননা।
- রোজায় সুন্দর ত্বক ধরে রাখতে ইফতারের পর ফলমূল খাবেন অনেক বেশি। এছাড়া জ্যুস, আঁশযুক্ত শাকসবজি, ফলমুল খাবেন সবসময়।
- রং ফর্সাকারী ক্রিমকে একেবারেই ছোঁবেননা। কারণ, এগুলো ত্বককে সাময়িক ভালো লাগালেও, আসলে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ত্বককে নষ্ট করে দেয়।
- ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে হরমোনাল কারণে ব্রণ হতে পারে। এছাড়া মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি ওভারির সমস্যা থাকে তাহলেও ব্রণ হতে পারে। তাই অনেক সময় ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও ব্রণ হতে পারে। তাদের জন্য পরামর্শ হলো ব্রণ হলে তা নখ দিয়ে খোঁটাবেন না। তাহলে দাগ বসে যাবে।
- রোজায় এবং বছরের অন্যান্য সময়েও রোদে কম ঘুরবেন। ত্বকের যেকোন সমস্যাই শুরু হয় পোড়া ত্বক থেকে। আর ঈদের শপিংয়ে গেলে সাথে পানি রাখুন, ঘুরবেন সাথে সাথে পানি খাবেন। তাহলে চেহারায় ক্লান্ত ভাবটা ফুটবে কম। এছাড়া শপিং শেষে ফিরেও ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- সারা দিনের রোজা রাখা, শপিং, অফিস সব সামাল দিয়ে বাসায় ফিরে ত্বকটাকে একটু ক্লিনও করতে পারেন। তবে তা অবশ্যই প্রাকৃতিক কোন জিনিস দিয়ে। যেমন: অ্যালোভেরা, শসা এই জাতীয় জিনিস।
ত্বকের যত্নে যা-ই করুন, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করবেননা। আর ত্বকের যত্ন যেহেতু একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তা-ই এখন থেকেই যত্ন নিন। যাতে ঈদে নিজেকে সতেজ এবং ফ্রেস ভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. নয়নমনি সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।