বিশ্বকাপে এরআগে কখনো ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। রোববার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ভারতকে হারাতে পারলে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা নিশ্চিতভাবেই দেশটির ক্রিকেটাকাশে আলাদা জায়গা করে নেবেন। কোচ মিকি আর্থার মনে করিয়ে দিলেন সেটাই। সঙ্গে টোপ দিয়ে এটা বলে, বিশ্বকাপে ভারত-জুজু কাটাতে পারলে বিশেষ পুরস্কারই অপেক্ষা করছে সরফরাজ-আমিরদের জন্য।
‘আমি ড্রেসিংরুমে আমাদের খেলোয়াড়দের বলেছি, তোমরা আগামীর হিরো হতে পারো। ম্যাচের একটি মুহূর্তেই তোমার ক্যারিয়ার নির্ধারিত হতে পারে। দুর্দান্ত কিছু করে দেখাও, মানুষ তোমাদের আজীবন মনে রাখবে।’ ওল্ড ট্রাফোর্ডের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচের আগের শিষ্যদের অনুপ্রাণিত করতে আর্থার বললেন এভাবেই।
রাজনৈতিক বৈরীতার কারণে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। শুধু আইসিসির ইভেন্টে দেখা হয়। উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে তাতে বেশি উত্তাপ ছড়ায়। সেটাকেই পারফরম্যান্সে রূপ দিতে তাতাচ্ছেন আর্থার।
‘ড্রেসিংরুমে আমাদের অসাধারণ ১৫ জন ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের জোর দিয়ে বলেছি, তোমরা কীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাও? তোমরা ২০১৯ সালের ক্লাসে আছো। ইতিহাস তোমাদের নিয়ে কী বলবে? ইতিহাসে ছাপ ফেলার জন্য আগামীকাল তোমরা দারুণ এক সুযোগ পাচ্ছ।’
ধ্রুপদী লড়াইয়ের আগে বেশ স্বস্তিতে রয়েছে ভারত। বিপরীত চিত্র পাকিস্তান শিবিরে। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে আছে কোহলির দল। টানা দুই ম্যাচে সাউথ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। পরে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টি, পয়েন্ট ভাগাভাগি।
সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ছন্দে ফেরে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়। চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। সেমিফাইনালে যেতে হলে শেষ ৫ ম্যাচের কমপক্ষে চারটি জিততে হবে সরফরাজদের। যার প্রথম পরীক্ষা ভারতের বিপক্ষে।