বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে তৈরী পোশাক কারখানাগুলো ধীরে ধীরে পরিবেশ বান্ধব উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। ধামরাইয়ে পরিবেশ বান্ধব গার্মেন্টস কারখানার উদ্বোধন করে পরিবেশ ও শ্রমিক বান্ধব কারখানায় তৈরী পোশাকের অর্ডার বাড়ানোর জন্য বিদেশী ক্রেতাদের আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকার কাছে ধামরাইয়ে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা খরচে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব তৈরী পোশাক কারখানা করেছে একেএইচ গ্রুপ। পুরো ভবনটি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে তৈরী করায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে ৩০ শতাংশ। একেএইচ গ্রুপের নতুন এ কারখানা ভবন উদ্বোধন করা হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, অনেকেই আমাদের ভুল বোঝেন, জানতে চান আমাদের কারখানাগুলোর পরিবেশ কেমন? গত দুই বছর নয় মাসে কোনো কারখানায় একটি দুর্ঘটনাও ঘটে নাই। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান অবস্থা বোঝার জন্য এ তথ্যই কী যথেষ্ট নয়।
একেএইচ গ্রুপ ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল কাসেম বলেন, এই নির্মাণে আমরা আমেরিকার ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব ক্যাটাগরি থেকে নিয়ম নীতিগুলো শক্তভাবে মেনে কাজ করেছি।
উদ্বোধনী আয়োজনে বিদেশী বায়ার, দেশের পোশাক খাতের শীর্ষ ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি শ্রমিক বান্ধব উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে যেটি বিশ্বজুড়ে ইতিবাচক বার্তা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা এস বি বার্নিকাট বলেন, একেএইচ পোশাক কারখানা বাংলাদেশে পোশাক খাতে নতুন সম্ভাবনার প্রতীক। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে এ খাতের অবদানকে স্বীকৃতি দেই আমরা। এই পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি পোষাক খাতকে আরো নিরাপদ করবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির মাইলফলক ছুঁতে চায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে তৈরী পোশাক রপ্তানিকারকরা তাদের কারখানাগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
একই অনুষ্ঠানে আন্তজার্তিক সার্টিফাইড সংস্থা থেকে পরিবেশ বান্ধব কারখানার লিড সার্টিফিকেট দেয়া হয় একেএইচ ইকো অ্যাপারেলসকে।