চট্টগ্রাম বন্দরে আটক কোকেন চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগ। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক বকুল ও ফজলু ওই কোকেন চোরাচালানের সঙ্গে নিশ্চিতভাবে জড়িত।
বলিভিয়া থেকে উরুগুয়ে হয়ে বাংলাদেশে আসা সূর্যমুখী ভোজ্যতেলের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে গত ৬ জুন আটক করে শুল্ক ও গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এবং পুলিশ। তেলের সঙ্গে লিকুইড কোকেন থাকতে পারে এমন সন্দেহে কন্টেইনারটি খুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। পরে ড্রাগ টেস্টিংয়ে ৯৬ নম্বর তেলের ড্রামে কোকেনের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বকুল ও ফজলু কোন প্রকার এলসি ছাড়া ভোজ্যতেল বোঝাই কন্টেইনারটি বাংলাদেশে নিয়ে আসে। বকুলের আত্মীয় মোস্তফা কামাল এবং আতিকুর রহমান খানকে কন্টেইনারটি খালাসের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই দুইজনকে মঙ্গলবার সকালে উত্তরা ও গুলশান থেকে আটক করেছে শুল্ক ও গোয়েন্দারা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর মহাপরিচালক ডক্টর মইনুল খান জানান, ভোজ্য তেলের চালানটি বাংলাদেশে খালাস করতে না পেরে ভারতের ব্যবসায়ী রাজুর মাধ্যমে কলকাতা বন্দরে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছিলো বাংলাদেশী একটি চক্র।
তিনি আরো বলেন, শুল্ক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, কোকেনের পরিমান নির্ণয়ের জন্য জাতিসংঘের এক্সপার্টদের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার খান জাহান আলী গ্রুপের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা সোহেলকে ৫দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।