তেলের দাম কমলে বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে জ্বালানি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেছেন, তেলের দাম কমলে বিনিয়োগ বাড়ার কোনো প্রমাণ নেই। এই মুহূর্তে তেলের দাম কমানো হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিনিয়োগ বোর্ডের আয়োজনে ‘স্টেট অব দ্য ইকনোমি’ শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা তেলের দাম কমানো-না কমানোর পেছনে যুক্তি তুলে ধরেন।
মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করে আলোচনার সূত্রপাত করেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল। সেখানে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমদানি বাড়ানোসহ তেলের দাম কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘তেলের দাম কমায় মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। এখন মুদ্রাস্ফীতি ৬ ভাগ অথচ তিনবছর আগেও ছিলো ১২ শতাংশ, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলো। এখন তেলের দাম কমে আসায় নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। তেলের দামের সঙ্গে নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ বিষয়টির ৪৫ শতাংশই নির্ভর করে’।
তবে তার এই মতামতের সঙ্গে পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা জানিয়েছেন তেলের ডিমান্ড সাইড যদি সফট থাকে তবে তেলের দাম উপরে উঠবে না।
জ্বালানি উপদেষ্টা ডক্টর তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘তেলের দাম কমলে বিনিয়োগ বাড়বে এমন কোনো তথ্য আমাদের হাতে নেই। এটা সত্য যে তেলের দাম কমলে বাস-ট্রাকের ভাড়া কমবে। কিন্তু দেশে তেলের দাম ১ টাকা বাড়ালে ভাড়া বাড়ে ১০ টাকা। তাই তেলের দাম কমালে আসলেই তা সাধারণ মানুষের কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য চলমান স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। তবে বিশ্ববাজারে যদি তেলের দাম কম থাকার প্রবণতা বজায় থাকে তাহলে দেশীয় বাজারেও তেলের দাম সমন্বয় করা হবে’।
শিল্পপতিদের পূঁজিবাজারে আসার আহ্বান জানিয়ে ডক্টর তৌফিক জানিয়েছেন আগামী এক বছরের মধ্যে জ্বালানি খাত থেকে একশো মিলিয়ন ডলারের বন্ড অথবা যে কোন শেয়ার ছাড়া হবে।