চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তেজগাঁও থানার হাজতখানায় ডা. সাবরিনা

করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে তেজগাঁও থানার হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

রোববার রাতে ডিএমপির তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন এ তথ্য জানান।

রোববার দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) অফিসে নিয়ে আসার পর তকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

ওসি সালাউদ্দিন বলেন, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয় থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে থানায় এনে থানাহাজতে রাখা হয়। বর্তমানে ডা. সাবরিনা থানাহাজতে আছেন। সোমবার রিমান্ডের জন্য আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমে বলেছেন, গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু  জানায়, সে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতো। এই ভয়ানক তথ্য জানার পর পুলিশ জিজ্ঞেস করে এর সাথে কারা জড়িত। সে স্বীকার করেছে, কোর্টেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে যে ভুয়া রিপোর্টের সাথে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত।

পরে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে। গ্রেপ্তার সিইওকে আমরা জিজ্ঞেস করি, ‘এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কে?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী।’ এরপর একে একে ছয়জনই এক উত্তর দিলেন।

স্বামী আরিফুলের গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের নাম বদলে রাখেন সাবরিনা মিষ্টি চৌধুরী। তাকে স্বামী আরিফুল নির্যাতন করতেন এমন অভিযোগও তোলেন।

জানা যায়, চিকিৎসা পেশার বাইরে তিনি ওভাল গ্রুপ লিমিটেড নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। এর প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহ করত ‘জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তৈরি করতেন ‘করোনার পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট’।

গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগের দিন আশকোনা থেকে হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।