চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তৃণমূল কর্মীদের মূল্যায়ন না করায় পদত্যাগ করেছি: সোহেল রানা

‘তৃণমূল কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি’ বলে স্বেচ্ছায় জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক সোহেল রানা। ১০ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বরাবর রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে এটাই উল্লেখ করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে ‘মাসুদ রানা’ খ্যাত এই বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব বলেন, তৃণমূলের কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা এবং দেশজুড়ে নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের অবমূল্যায়ন করাই আমার পদত্যাগের মূল কারণ।

”দলে এখন যারা রয়েছেন, তাদের অযোগ্য বলছি না। কিন্তু তাদের চেয়েও নিবেদিতপ্রাণ, শিক্ষিত কর্মী দলে রয়েছেন। তাদের মূল্যায়ন করা হল না। এ নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরাও হতাশ। আমি ব্যথিত। তাই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। মেসি ফুটবল খেলতে পারেন, আমিও পারি তার মানে মেসিকে বাদ দিয়ে আমাকে দলে নিলে তো হবে না।”

চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা সোহেলা রানা ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের ভিপি ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন।

জাতীয় পার্টির তখনকার চেয়ারম্যান এরশাদের নির্বাচন বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতির পদেও সোহেল রানাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সেই পদও ছেড়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন সোহেল রানা। ১৯৭৩ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ ছবির নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই ছবির মাধ্যমে তিনি মাসুদ পারভেজ নামে পরিচালক হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মাননাসহ তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন সোহেল রানা।