উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের তৃণমূল দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতি উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে তিনজন করে প্রার্থীর নাম দেয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় এমপিরা প্রভাব খাটিয়ে একক নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।
শুরুতে শুধুমাত্র তৃণমূল থেকে পাঠানো নামের ব্যক্তিদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করেছে দলটি। মনোনয়ন ফরম সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তাহলে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব কী প্রকাশ্য রূপ নিলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: এখনই সেটা বলার সময় আসেনি।
বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: এটি অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা। দ্বন্দ্ব বলতে এটা বিদ্বেষপ্রসূত কোনো দ্বন্দ্ব নয়। খুব স্বাভাবিক কারণেই দলের ভেতরে সুস্থ একটা প্রতিযোগিতা হতেই পারে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে। তারপর দ্বন্দ্ব কিনা সেটা বলা যাবে।
অনেক উপজেলায় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা নিজেদের লোক এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের নাম পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা কী হবে? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখবো এখানে কার ভাই, কার বোন। এটা কোনো প্রশ্ন নয়। জনগণের কাছে কার জনপ্রিয়তা কতটুকু, কে উইনেবল; কে ইলেকটেবল সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।
তিনি যোগ করেন: আমরা উপজেলায় একটি বর্ধিত সভায় নাম নির্ধারণের জন্য বলেছিলাম। ওই বর্ধিত সবাই যদি কারো আত্মীয়ের নাম চলে আসে তাহলেতো কিছু করার নেই। আত্মীয় পরিচয়ের কারণে কারও নাম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চাপা পড়ে যাবে সেটা তো হতে পারে না।