বর্তমান ফুটবলের দুরবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলাররা। তৃণমুল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তুলে না আনতে পারার জন্য ফেডারেশনকেই দুষছেন তারা। এজন্য সকলকে নিয়ে একত্রে কাজ করার পাশাপাশি নতুন বাফুফেতে নতুন নেতৃত্ব আনার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠক এবং সাবেকরা।
বৃহস্পতিবার সাবেক খেলোয়াড়রা একত্রিত হয়ে একটি প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা বলেন।
বিশ্বকাপ খেলার মতো বিলাসী চিন্তা না করে আর স্বল্প মেয়াদি কোচের পরিবর্তে, সাফ চ্যম্পিয়নশিপের জন্যই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং জেলা ফুটবল লিগ গুলোকে শুরু করার দাবি করেন সাবেক ফুটবল এবং সংগঠকরা।
বাংলাদেশের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু বলেন,আগে টার্গেট নিয়ে খেলতে হবে।আমাদের ফুটবলের উচিত ছিল প্রথমে সাফ গেমস উতরানো। টানা পাঁচ বছরে পাঁচবার আমাদের সাফে চ্যাম্পিয়ন হবার কথা ছিল। তা না আমরা ২০২২ সালে বিশ্বকাপ খেলতে চাই এবং ২০১৬ সালেই কাতারে চলে যেতে চাই।
বাংলাদেশের আরেক সাবেক খেলোয়াড় শামসুল আলম মঞ্জু বলেন, ফুটবলের ব্যর্থতার দায় দ্বায়িত্ব সম্পূর্ণ ফেডারেশনের। আমার আন্ডারে কয়টা টিম আছে, সারা পৃথিবীতে সকল ফেডারেশনের টিম আছে।অনুর্ধ্ব ১৪, অনুর্ধ্ব ১৬, অনুর্ধ্ব ১৯।আর ক্লাবগুলো যে একাডেমী করে সেটা হলো ক্লাবগুলো বাঁচানোর জন্য।
বাফুফেকে সবার অংশগ্রহণে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের তলানি যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই, আসলে আমাদের নতুনভাবে শুরু করতে হবে। সেটা যদি আমাদের বর্তমান বাফুফে কর্তারা করে অথবা ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে চায় কিন্তু সব কিছুই আমাদের নতুনভাবে শুরু করতে হবে।
তবে এ বিষয়ে বাফুফের সাথে কথা বলতে গেলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভুটানের বিপক্ষে হারের পর থেকেই বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারশনকে একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। ৯ বছর দায়িত্বে থেকেও তৃণমূল এবং পাইপ লাইনে নতুন খেলোয়াড় তৈরি করতে না পারায় জাতীয় দলকে একের পর এক হারতে হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তর ১শ’৮৮ তে নেমে যাওয়ার পর এবার একত্র হয়েছেন সাবেক ফুটবলার এবং সংগঠকরা।