ঘরোয়া ক্রিকেটে একের পর সেঞ্চুরি করে যাওয়া তুষার ইমরান ‘এ’ দলে সুযোগ পেতে পারেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
‘তুষার ইমরানের পারফরম্যান্স ভালো, তার বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে,’ জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দলে প্রতিভাবানরাই সুযোগ পাবে।’
জাতীয় দলের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা টেকনিক্যালি কতটা কার্যকর সেটা আমাদের দেখতে হবে।’
নিকট অতীতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে দেখা যায়নি কোনো সিনিয়র খেলোয়াড়কে। গত বছর তারুণ্যনির্ভর দল ঘরের মাঠে খেলেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। স্বাগতিক দলের হয়ে নেতৃত্ব দেন ১৯ বছরের তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার অভিজ্ঞ ও সিনিয়র অনেক ক্রিকেটারের থাকা নিশ্চিত। তবে সংখ্যায় কতজন রাখা হবে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
জাতীয় দলে লম্বা সময় খেলেছেন অথচ ঘরোয়াতে পারফর্ম করে যাচ্ছেন এমন সিনিয়র খেলোয়াড়দের ফেরার সুযোগ নির্বাচকরা করে দেবেন কিনা; তার চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে আগামী সপ্তাহে।
‘এ’ দলে সুযোগ পাওয়ার শর্ত হল ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স ও জাতীয় দলের জন্য বিবেচনায় থাকা। এই মানদণ্ডে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে জায়গা পেতে পারেন তুষার ইমরান, নাঈম ইসলাম ও শাহরিয়ার নাফীস। বিসিবির প্রধান নির্বাচক চান না পারফরম্যান্সের সঙ্গে আপোস হোক।
নান্নু বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ‘এ’ দলে সিনিয়র-জুনিয়র কম্বিনেশন রাখা হবে। কারা থাকবে এটা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। ‘এ’ দল গঠনের দুই সপ্তাহ পর জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য দল ঘোষণা করা হবে।’
জুনের শুরুতে বাংলাদেশ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অথবা টি-টুয়েন্টি সিরিজ। হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে মে থেকেই। নির্বাচক মিনহাজুল ও হাবিবুল বাশার সুমনের ব্যস্ততা তিনটি দল গঠন নিয়ে। জাতীয় দল একেবারে আলাদা হলেও এইচপি ও ‘এ’ দলের মাঝে সমন্বয় রাখার কথা বলেছেন মিনহাজুল।
‘‘আমাদের এইচপি দলের সঙ্গে ‘এ’ দল সমন্বয় করছি। ২০-২২ জনের দল নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী মাসের ২৩ তারিখ থেকে ক্যাম্প শুরু হবে। এইচপি দলের সঙ্গে ‘এ’ দলের খেলোয়াড়দের যুক্ত করা হবে।’’
জাতীয় দল এবং সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তুষার ইমরানের বিশেষ সাক্ষাৎকার পড়তে এখানে ক্লিক করুন।