মঙ্গলবার র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়াকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।
বুধবার কার্টুনিস্ট কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদের সঙ্গে মিনহাজ মান্নান ইমন ও দিদারুল ইসলাম ভূইয়াকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামশেদুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় দিদারসহ আরো ১১ জন আসামি রয়েছে।
রমনা থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে র্যাবের একটি দল রাজধানীর বাড্ডা থেকে দিদারুলকে আটক করে। পরে বুধবার বিকালে তাকে রমনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) সুজয় সরকার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে দেশবিরোধী পোস্ট এবং করোনা সময়ে ত্রাণ বিতরণ ও সরকারে গৃহীত অন্যান্য ব্যবস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ৪ থেকে ৬ মে ধারবাহিকভাবে রাজধানীর কাকরাইল, লালমাটিয়া, বাড্ডা এবং বনানী এলাকা থেকে আহমেদ কবির কিশোর, মুশতাক আহমেদ, দিদারুল ইসলাম এবং মিনহাজ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।’
তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে এবং তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’
দিদারুলের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও রাষ্ট্রচিন্তার আরেক সদস্য হাসনাত কাইয়ূম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি দিদারুলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। আমরা আগামীকাল আদালতে থাকব। এছাড়াও আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের সামনে আমরা দিদারুলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করব।’
এরই মধ্যে ওই মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে র্যাব-৩ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় একদল সাদা পোশাকধারীরা দিদারুলকে সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তার ল্যাপটপ ও ফোন জব্দ করা হয়।
যদিও তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটকের কথা স্বীকার করেনি।