ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে বিজেপি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কারণে স্বাভাবিকভাবেই এদেশের মানুষের চোখ ছিল ভারতের নির্বাচনের দিকে। এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দলের ঈর্ষণীয় সাফল্যের পর এখন সাধারণ মানুষের প্রধান চাওয়া হলো দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশ যে ভারতের সঙ্গে থাকা ঐতিহাসিক সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী তা ফুটে উঠেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায়।
শুক্রবার তিনি বলেছেন: নরেন্দ্র মোদি সরকারের সাহসিকতা ও বিচক্ষণতায় দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এ ধরনের কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে গেছে, সেহেতু আমরা আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোরও দ্রুত সমাধান হবে।
ওবায়দুল কাদের জানান: বিজেপি এবার ভূমিধস জয় অর্জন করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
এর আগেও তিনি বলেছিলেন: ভারতের যে দল বা জোটকে সেদেশের জনগণ নির্বাচিত করবে সেই দল বা জোটের সঙ্গেই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। কারণ, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের (স্টেট টু স্টেট) এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের। তাই, ভারতের জনগণ যে জোট বা দলকে নির্বাচিত করবে সেই জোট বা দলের সঙ্গে আমরা কাজ করব।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে আমরাও বলতে চাই, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক তা রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের (স্টেট টু স্টেট) এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের। সুতরাং এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে আমরা আশা করি। এই সম্পর্ক অটুট রেখে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বার্থেই অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান করতে হবে।
আমরা এর আগে দেখেছি, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল হস্তান্তর হয়েছে, সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন একইভাবে ভারতের নতুন সরকার তিস্তার পানি, সীমান্তে হত্যা, ফারাক্কা বাঁধ, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ অমীমাংসিত নানা সমস্যার সমাধানে আন্তরিক হবে বলেই আমাদের আশাবাদ।