নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এখন ভোট উৎসবের নগরী। ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে।
নতুন মেয়র নির্বাচনে ৩ সিটিতে প্রায় ৯ লাখ ভোটার ৩শ’ ৯৫টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন। এর মধ্যে ১৫টি কেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।
তিন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ১৮ জন ও কাউন্সিলর পদে ৫শ ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের নিরাপত্তায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার সদস্য।
বরিশাল
বরিশালে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২৩টি, ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার। সাধারণ কেন্দ্র ১১টি, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ৬২টি এবং অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি। মোট ভোট কক্ষ ৭৫০টি। ১১টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোট নিশ্চিতে নিয়োজিত থাকছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রায় ৪ হাজার সদস্য। পাশাপাশি মাঠে থাকবে ১৯ প্লাটুন বিজিবি। মেয়র পদে বরিশালে আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নতুন মুখ হলেও বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার সাবেক মেয়র।
রাজশাহী
তিন লাখ আঠারো হাজার ভোটারের জন্য প্রস্তুত রাজশাহী মহানগরীর ১শ’৩৮টি ভোট কেন্দ্র। ৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত প্রায় ৩৭ বর্গ কিলোমিটারের এই শহরে কোন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার আশংকার কথা আগেই উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজশাহীতে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী– আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। দু’জনই রাজশাহীর সাবেক মেয়র।
সিলেট
সিলেট সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭’শ ৩২ জন। কেন্দ্র রয়েছে ১’শ ৩৪টি। যার মধ্যে ৮০টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজশাহীর মতো সিলেটেও প্রধান দুই প্রার্থী সাবেক নগরপিতা। তারা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান এবং বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী।