টেস্ট খেলার জন্য বাংলাদেশের হাহাকার বোধহয় শেষ হতে চললো। কারণ আইসিসির নতুন সূচিতে ‘তিন মোড়ল’- ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
সিঙ্গাপুরে আইসিসির কর্মশালায় তৈরি করা হয়েছে ২০১৯-২০ থেকে পরের চার বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম বা এফটিপির খসড়া। তাতে বিগ থ্রি অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের জন্য বরাদ্দকৃত মোট টেস্টের সংখ্যা ১২৩টি।
সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড, ৪৬টি। তারপরে আছে অস্ট্রেলিয়া। তারা চার বছরে টেস্ট খেলবে ৪০টি। ভারত সেসময়ে টেস্ট পাবে ৩৭টি। দুই টেস্ট কমে তাদের ঠিক পরেই অবস্থান বাংলাদেশের। চার বছরে মোট ৩৫টি টেস্ট খেলার সুযোগ পেতে পারে টাইগাররা।
এই সময়ে সাউথ আফ্রিকা খেলবে ৩২টি টেস্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা ২৯টি, পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সমান ২৮টি এবং জিম্বাবুয়ে টেস্ট পাবে ১৭টি। টেস্ট ক্রিকেটের নবীন দুই দেশ আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড খেলবে ১৩ এবং ১৬টি করে টেস্ট।
পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ কমে যেতে পারে। অ্যাশেজের পর ইংল্যান্ডের সঙ্গে কেবল ভারতের দুটি পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হবে‘। তিন মোড়ল’ একে অপরের বিপক্ষে খেলবে মোট ২৮টি টেস্ট।
তবে বড় বড় দলগুলোর নাম ছাপিয়ে বাংলাদেশের বেশি টেস্ট খেলা চমক জাগাচ্ছে বেশ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে টাইগারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ক্রিকেটীয় বাণিজ্যও বড় ভূমিকা রাখতে পারে বাংলাদেশের এত টেস্ট খেলার সম্ভাবনার পেছনে।
নতুন এফটিপিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট নেই বাংলাদেশের। অর্থাৎ থাকছে না কোনো দ্বিপাক্ষিক সফরসূচি। থাকছে না কোন ভারত-পাকিস্তান সিরিজও।