চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তিন মিনিট দেরি করে তোপের মুখে জাপানের মন্ত্রী

মন্ত্রিসভার মিটিংয়ে পৌঁছাতে দেরি হয়েছিলো মাত্র তিন মিনিট। তাতেই তোপের মুখে পড়েছেন জাপানের অলিম্পিক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধীদলীয় একজন সংসদ সদস্য বলেছেন, তার দীর্ঘসূত্রীতা তার অফিসের প্রতি অশ্রদ্ধাকেই প্রকাশ করে।

এর প্রতিবাদে বাজেট কমিটির মিটিং পাঁচ ঘণ্টার জন্য বয়কট করেন বিরোধীদলীয় ওই সংসদ সদস্য।

এর আগেও সাকুরাদার বেশ কিছু আচরণ নিয়েই তীব্র সমালোচনা তোলেন তারা। রিকাকো ইকির লিউকেমিয়া ধরা পড়ার পরে অলিম্পিক সুইমিং নিয়ে হতাশ বোধ করে তিনি বলেছিলেন, টোকিও ২০২০ গেমসে একজন সম্ভাব্য গোল্ড মেডেলিস্ট সে। এই অ্যাথলেটের প্রতি আমাদের তীব্র প্রত্যাশা রয়েছে। আমি সত্যিই হতাশ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি। ২০১৬ সালেও তিনি একবার সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জাপানের যুদ্ধকালীন সৈন্যদের যৌনসেবা দেওয়া নারীদের ‘পেশাদার পতিতা’ বলার জন্য।

সাকুরাদা সেখানকার সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রীও। গত বছরে তিনি আবারও সমালোচনা তোলেন এই বলে যে, তিনি কখনো কম্পিউটার ব্যবহার করেননি। সবসময় কাজ অর্পণ করেছেন অধীনস্তদের উপর।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদল বরাবরই তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।

যদিও জাপানে কোনো মিটিংয়ে দেরিতে পৌঁছানো তেমন একটা গুরুতর সাংস্কৃতিক ভুল হিসেবে পরিগণিত হয় না। তবে সাম্প্রতিক এই ঘটনা খুব দ্রুতই লুফে নিয়েছে বিরোধি দল। সেটাকে সাকুরাদার পরাজয় হিসেবেও উল্লেখ করে তারা।

এই সপ্তাহে আসাহি শিমবুন নিউজপেপারে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে সাকুরাদা ওই কাজের যোগ্য নয় বলে মন্তব্য দিয়েছে ৬৫ শতাংশ আর যোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ১৩ শতাংশ।

গত বছরের অক্টোবরে এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাকুরাদা। টোকিওতে হতে যাওয়া ২০২০ অলিম্পিক গেমসের সাইবার প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নেওয়া তার দায়িত্বগুলোর একটি।