ইনজুরির কারণে প্রায় তিন মাস মাঠে নামতে পারেননি। তাতেও বর্ষসেরা হওয়ার রাস্তা আটকে থাকেনি নেইমারের। রোববার ‘ফ্রেঞ্চ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরষ্কার হাতে তুলেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সেরা কোচের পুরষ্কার উঠেছে নেইমারদের ‘হেড স্যার’ উনাই এমেরির হাতে।
পিএসজির হয়ে ফরাসি লিগ ওয়ানে ২০ ম্যাচে ১৯ গোল করেন নেইমার। ফেব্রুয়ারিতে ইনজুরিতে পড়ার পর রিহ্যাবের জন্য প্রায় তিন মাস ব্রাজিলে ছিলেন। গত সপ্তাহে ফের প্যারিসে ফিরেছেন।
এই পুরষ্কার জেতার পথে নেইমার হারিয়েছেন দুই ক্লাব সতীর্থ এডিনসন কাভানি ও কাইলিয়ান এমবাপেকে। পেছনে ফেলেন মার্সেই উইংগার ফ্লোরিয়ান থাউভিনকেও। এরমধ্যে লিগের টপ স্কোরার কাভানি করেছেন ২৮ গোল।
পুরষ্কার জয়ে পিএসজিরই আধিপত্য। ডাবলজয়ী দলটির আরেক স্ট্রাইকার এমবাপে জিতেছেন ‘ইয়ং প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরষ্কার। তিনি পেছনে ফেলেন লিঁয়’র হুসেম আউয়ার, টাঙ্গি নম্বলে এবং বোর্দোর ব্রাজিলিয়ান উইংগার ম্যালকমকে।
চলতি মৌসুমে ১৩ গোল করা এমবাপে গত বছর জিতেছিলেন ‘ফ্রেঞ্চ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরষ্কার। মোনাকোকে শিরোপা জিতিয়ে হাতে তুলেছিলেন বর্ষসেরার ট্রফি।
স্বদেশি গ্রেট রোনাল্ডোর হাত থেকে পুরষ্কার নেয়ার পর নেইমার বলেন, ‘আমি আমাদের মৌসুম নিয়ে খুব খুশি। এই পুরষ্কার দারুণ সম্মানের। তবে সতীর্থদের সহযোগিতা ছাড়া আমি কখনো এই পুরস্কার পেতাম না।’
শনিবার পিএসজির শিরোপা উৎসবে সামিল হন নেইমার। পুরষ্কার মঞ্চে অবশ্য ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন। তবে পুরষ্কার নেয়ার সময় নিজের ভবিষ্যত নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
শুধু বলেন, ‘যেখানেই যাই এই একটা বিষয় নিয়েই কথা বলতে হয়। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আমি কোনো কথাই বলতে চাই না।’
‘সবাই জানে আমি এখানে (পিএসজি) কেনো এসেছি, আমার লক্ষ্যই বা কী? এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য বিশ্বকাপ। তাই দলবদল নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমার সারাটা জীবন আমি দলবদলের কথা বলতে বলতে কাটিয়েছি। এটা নিয়ে কথা বলতে এখন আমার বিরক্ত লাগে।’
নেইমারের এসব কথা বলার দিনই অবশ্য পিএসজি মালিক নাসের আল-খেলাইফি জানিয়েছেন, তিনি ২০০০% নিশ্চিত যে নেইমার পিএসজিতে থাকবেন।
গত বছরের আগস্টে ২২২ মিলিয়ন ইউরোর রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নাম লেখান নেইমার। প্যারিসের পা রেখে প্রথম মৌসুমে ডাবল জিতলেও ক্লাব মালিকের স্বপ্নের চাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হতাশ করেন। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে ইউরোপ সেরার আসরের শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হয় নেইমারের প্যারিস সাঁ সাঁকে।