তিন বছর আগে নারায়ণগঞ্জের কদমতলীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মামুন হত্যার প্রধান আসামি লিপটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মেট্রো।
মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুঁড়ি এলাকা থেকে লিপটনকে (৩১) পিবিআই ঢাকা মেট্রোর একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে আটক করে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, মামুন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি লিপটন হলেও হত্যাকাণ্ডে সেসময় তাকে সহায়তা করে সোহেল রানা শিফাত ও নিশাত। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথাও জানান।
শিফাত ও নিশাত তাদের জবানবন্দিতে জানায় ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তারা মামুনকে পথরোধ করে কিন্তু সে চিৎকার এবং বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
তারা আরও জানায় পলাতক লিপটন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা।
পিবিআইয়ের এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, আসামিরা নারায়ণগঞ্জের ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। ঘটনার সময় আসামিরা মামুনের পথরোধ করে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে লিপটন দীর্ঘ ৩ বছর আত্মগোপনে ছিল। আটক আসামী লিপটন এর বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আব্দুল রাজ্জাকের মেজ ছেলে মামুন (২০) কদমতলীর মিনাবাগে জনৈক মাহমুদ আওলাদের ইলেকট্রনিক্সের দোকানে কর্মচারী ছিল। কাজ শেষে মামুন বাসায় ফেরার পথে ২০১৫ সালের ৮ জুন রাত্র প্রায় ১০.৪৫ মিনিটে মুরাদপুর বাগিচা আদর্শ সড়ক গলির মুখে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনকে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় মামুনের বাবা মো. আব্দুল রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানার মামলা করে।