জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
তবে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই মামলার আপিল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ সোমবার এই আদেশ দেন।
আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গত ২১ আগস্ট রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭। সেই সাথে তালে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কারাদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় এ ধারা থেকে তাকে খালাস দেন আদালত। পরবর্তীতে এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সাহেদ। সে জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে দুদক।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এছাড়া অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তার সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন। ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই বছরের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকাসহ সারা দেশে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।