জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ছাত্রলীগকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়ার অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলোচনা কোনো প্রকার সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা হয়। তবে টানা তিন ঘণ্টা আলোচনার পরেও তদন্তের বিষয়ে নির্দিষ্ট সমাধানে পৌছাতে পারেনি উভয়পক্ষ।
আলোচনা শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি ছিলো বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা। কিন্তু আমি তো বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারি না। সেই এখতিয়ার আমার নেই। তবে বিষয়টির তদন্তের জন্য আমি ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি।
অন্যদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে রাত ৮টায় আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা সভার পর সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, এত সব অর্থ কেলেঙ্কারির পরেও এই উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সকল একাডেমিক ভবনে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।