গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা দিয়ে উন্নয়ন না করে অনিয়ম করে একটি প্রাইভেট ব্যাংকের একটি শাখা রেখে দেয়া হয়েছে। আর এ অভিযোগে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। টিআইবি বলছে, শুধু ছোটো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সামান্য ব্যবস্থা নিয়ে বড় অপরাধীদের আড়াল করা হয়েছে।
বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব অর্থায়নে গ্যাস খাতের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের সময়েই গ্যাস বিক্রির আয় থেকে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গড়ে তোলা হয়। সেই তহবিল থেকে তিতাস গ্যাস কোম্পানির জন্য মাসে দুইশ’ কোটি টাকা পর্যন্ত কিস্তি করে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার সরকারি অর্থ দেয়া হয় তিতাসকে। নিয়ম অনুসারে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে সেই টাকা সরকারি ব্যাংকে রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে বলা হয়। তবে উন্নয়ন না করে সরকারি ব্যাংকের পরিবর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের একটি শাখাতেই রাখা হয় সেই টাকা। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যাংক থেকে অবৈধ সুবিধা নিতে পারেন-এ রকম অভিযোগ উঠে আসে পেট্রোবাংলার তদন্তে। অনিয়ম ধরা পরার পর তিনজনকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিলেও ঊর্ধ্বতনরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে ।
প্রাথমিক তদন্তে আরো একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম এলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের বিশাল অংকের অর্থের লেনদেনে এ অনিয়ম ছাড়াও সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিলিং দুর্র্নীতির অভিযোগে আরো দুজনকে সাময়কি বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিস্তারিত ভিডিও রিপোর্টে: