ভারতের ওড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র মারাত্মক আঘাতে শেষ খবর পর্যন্ত ৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই ব্যক্তি। ঘূর্ণিঝড় তিতলির আঘাতে ওই দুই এলাকায় বিদ্যুৎ ও রেল সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে।
ভুবনেশ্বর বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল করে দেয়েছে বিমানসংস্থা ইন্ডিগো। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি গোপালপুরের কাছ দিয়ে ভারতের ওড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল ১২৫ কিলোমিটার বেগে অতিক্রম করতে শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর,উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল। ধসে গিয়েছে অসংখ্য মাটির ঘর-বাড়ি। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের কাছে বিশাখাপত্তনমের দিকে এগোচ্ছে তিতলি। এই জেলাতেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের।
বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া এই শক্তিশালী সাইক্লোন ‘তিতলি’ যে বিপজ্জনক ঝড় ও বৃষ্টি নিয়ে আসবে তা আগেই জানিয়েছিল দেশটির আবহাওয়া দফতর।
ওড়িষ্যার উপকূলবর্তী জেলাগুলো থেকে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিচু সমুদ্র সৈকত থেকে এই সময়টা মানুষদের দূরে থাকার উপদেশ দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
দেশটির গঞ্জাম, গজপতি, খুড়দা, পুরী, জগৎসিংহপুর, বালাসোর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক সহ ওড়িষ্যার মোট আটটি জেলা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ‘তিতলি’র আঘাতে।অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন দেশটির মন্ত্রীরা।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।