বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ ও স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসি সন্দেহ প্রকাশ করার পর কোচ হাথুরুসিংহের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা।
চ্যানেল আই অনলাইনে প্রকাশিত ‘তাসকিন-সানির বোলিংয়ে ভারতীয় ও অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ারদের সন্দেহ’ এবং ‘সানি-তাসকিনের হাতে সময় ৭ দিন’ দুটি রিপোর্ট ফেসবুক শেয়ার হওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কমেন্ট করেছেন।
এবি রউফ নামের একজন সমর্থক কমেন্ট করেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে আইসিসি নামক ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল.. বোলিং অ্যাকশন শুধুই কি ইন্ডিয়া বাদে অন্য সব টিমের বোলারদের জন্য.? নাকি এটাও আইসিসির নীতি যে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশী কোনো বোলার ভাল বল করলেই তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনের অভিযোগ বাধ্যতামূলক…?? বোলিং একশন যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে তা একমাত্র অশ্বিনের হওয়া উচিত।’
আব্দুজ জায়েদ জিসান লিখেছেন, ‘অবৈধ বোলিং এর চাষ বেশী হয়, বাংলাদেশে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর পাকিস্তানে…আশ্বিন, বোমরা এদের বোলিং বৈধ।’
রেজাউল করিম নামের আরেকজন টাইগার ক্রিকেট ভক্ত কমেন্টে লিখেছেন, ‘আই,সি, সি কে বলছি, দয়া করে ক্রিকেটকে পাড়ার খেলা বানাবেন না। আমরা যখন গ্রামে খেলি এবং ছোটদের সাথে পারি না, তখন নতুন নতুন নিয়মে নো বল, ওয়াইড বল, আর কত কি……ধরে থাকি!!! বর্তমানে ঠিক এই কাজটিই করছে আই, ছি ছি। তিন মোড়লেরবাচ্ছারা কি ধোয়া তুলশি পাতা??? আশ্বিনের অফ স্পিন ছাড়া সব অবৈধ বল। হরভজন ও একই অবস্থা। আমি আম্পায়ার হলে সব ডিরেক্টলি নো ধরতাম ওগুলোকে।।।।। please BE FAIR…..I C C।’
আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের একজন লিখেছেন, ‘আইসিসির এ কেমন সিদ্ধান্ত? একজন বাংলাদেশী ক্রিকেট প্রেমী হিসাবে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ নিজের যোগ্যতায় এত দুর এসেছে । তাদের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবেনা। আইসিসির নিয়ম হচ্ছে ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হবে এখন কেন তাহলে তা ৭ দিনের মধ্যে করতে হবে। বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না এসবই চক্রান্ত। আইসিসি কি করেছিল ইতিপূর্বে সেটা আমাদের জানা আছে?’
আহসান উদ্দিন সুমন নামের আরেক ভক্ত খানিকটা রসিকতা করে লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়া আরে না থুক্কু ICC সানি আর তাসকিনের বল নিয়া সন্দেহ প্রকাশ করছে এবং কয়েকদিন পর এও শুনমু তামিম আর সাব্বিরের ব্যাটিং নিয়া তাদের সন্দেহ আছে।’
কামাল হোসেন নামের আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহ প্রকাশ করার কোনো মানেই হয় নাই, তার ফর্মটা নষ্ট করার জন্য এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, তার বোলিং সন্দেহ হয় তাহলে ইন্ডিয়ার বুমরাহ, আশিষ নেহরা তাদের বোলিং নিষিদ্ধ হওয়া উচিত ছিলো অনেক আগেই।’
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে গেলে ভারতের গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। অনেকে এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন।