চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তাসকিনের তিন উইকেট, ইমরুল-মাহমুদের ফিফটি

প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তাসকিন আহমেদ শিকার করেছিলেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচেও জ্বলে উঠলেন এ পেসার। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ শুরুর সকালেই ফেরান সাইফ হাসান (৭) ও নাজমুল হোসেন শান্তকে (২)। পরে ফিফটি তোলা ইমরুল কায়েসকে সাজঘরে পাঠান ছন্দে থাকা তাসকিন।

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার শুরু হয় টাইগার ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যকার দুই দিনের ম্যাচটি। প্রথম দিনের খেলা শেষে ওটিস গিবশন একাদশ ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২৪৮ রান। সকালে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সারাদিন খেলা হয়েছে ৭২ ওভার।

তাসকিনের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে ইমরুল করেন ৬০ রান। এ বাঁহাতি খেলেন ৯৩ বল। তার ইনিংসে ছিল আটটি চার ও একটি ছয়ের মার।

টেস্ট দলে জায়গা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফিফটি পেরিয়ে বেশিক্ষণ উইকেট থাকতে পারেননি। তরুণ পেসার মো: সাইফউদ্দিনকে উইকেট দিয়ে ফেরেন ৫৬ রানে। ১১৯ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার।

লিটন দাস খেলছিলেন দুর্দান্ত। ফিফটির কাছে গিয়ে এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান আল-আমিন হোসেনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান ইসলামের হাতে সহজ ক্যাচ দেন।

আউট হওয়ার আগে লিটনের ব্যাটে আসে ৪৪ রান। ৬৬ বলের ইনিংসে চারের মার তিনটি।

রৌদ্রজ্জ্বল বিকেলে সৌম্য সরকারও খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু তাকে থেমে যেতে হয় ২৬ রানে। তাইজুল ইসলামের শিকারে পরিনত হন এ বাঁহাতি। তাইজুলের উইকেট প্রাপ্তির পেছনে অবদান ছিল নুরুল হাসান সোহানের। এ উইকেটরক্ষক এগিয়ে মারতে যাওয়া সৌম্যকে খুব দ্রুত স্টাম্পড করেন।

শেষ বিকেলে নাঈম হাসানকে (৮) বোল্ড করেন অনিয়মিত বোলার মো: মিঠুন। পরের ওভারে এ অফস্পিনার সাজঘরে পাঠান ইবাদত হোসেনকে (০)। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন রায়ান কুক একাদশের সোহান।

মোসাদ্দেক হোসেন ২৯ ও রুবেল হোসেন ০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।