চট্টগ্রাম থেকে: চোটের ধকল প্রভাব ফেলেছিল পারফরম্যান্সে। গতিময় পেসার তাসকিন আহমেদ অনেকটা আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন। জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন প্রায় দেড় বছর। তবে বিপিএলে বল হাতে আলো ছড়িয়ে খারাপ সময় পেছনে ফেলতে পেরেছেন। তার নামের পাশে ১০ ম্যাচে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ২০ উইকেট। ডাক পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে ও টেস্ট দলে। সুসময় হাত বাড়িয়ে ডাকছে এ তরুণকে।
তাসকিন বিপিএল খেলছেন সিলেট সির্ক্সাসের হয়ে। যেখানে হেড কোচ হিসেবে পেয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার, রিভার্স সুইয়ের রাজা ওয়াকার ইউনুসকে। ছন্দ ফিরে পেতে তার অবদানের কথা বলেছেন তাসকিন। যদিও ওয়াকার দাবি করলেন, কঠোর পরিশ্রমে তাসকিন নিজেই নিজেকে ফিরিয়েছে কক্ষপথে।
মঙ্গলবার এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে ওয়াকার বললেন, ‘আমি তাসকিনকে নিয়ে কিছুই করিনি। সে নিজেই কিছু কাজ করেছে। সে পরিশ্রম করতে স্বপ্রণোদিত এবং শেখার ব্যাপারে খুব আন্তরিক। সে বাংলাদেশ দলে খেলতে চায়। কেউ যদি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকে, তাহলে সুযোগ সামনে চলে আসে। এখানে তাসকিনের বেলায় এমনটাই হয়েছে।’
ছন্দ ফিরে পাওয়ার পেছনে তাসকিনও কঠোর পরিশ্রমের কথা বলেছেন। পাশাপাশি তুলে ধরেন ওয়াকারের অবদানের কথাও, ‘আমি আসলে চেষ্টা করেছি নিজের বেসিকটা ঠিক রেখে লাইন-লেংথ, বৈচিত্র্য ঠিক রেখে বোলিং করতে। আর ২০১৮ সালে অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি। বাবা-মা, সবার খুব সমর্থন ছিল। আমাদের সিলেটের যে প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনুস, সে অনেক সাহায্য করছে। মূল জিনিসটা আসলে ছন্দ আর আত্মবিশ্বাস।’
‘ওয়াকার আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে আমি ভালো ছন্দে আছি, প্রথম দিন থেকে যখন নেটে বল দেখছিল। পুরোপুরি নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে বলেছে। কিছু ছোট ছোট ত্রুটি উনি ধরিয়ে দিয়েছেন। তা নিয়ে কাজ করেছি। এখন ছন্দটা ভালো আছে। লাইন-লেংথ, ধারাবাহিকতা নিয়ে আরেকটু সচেতন ছিলাম মাঠের মধ্যে।’ -বলে চলেন তাসকিন।
বিপিএলের গত আসরে তাসকিন ছিলেন চিটাগং ভাইকিংসে। সেবার সিলেট সিক্সার্সের পরামর্শক হয়ে আসা ওয়াকারের টিপস নিয়েছিলেন তাসকিন। এবার হেড কোচের নিবিড় সাহচর্যে ডানা মেলেছেন টাইগার পেসার।