চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তালেবান সরকারে কট্টরপন্থীরাই গুরুত্বপূর্ণ পদে

একদিন আগে তালেবানরা আফগানিস্তানে অন্তবর্তীকালীন যে সরকার গঠন করেছে, তাতে সংগঠনটির কট্টরপন্থী নেতারাই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছে। এমন কি সেখানে স্থান হয়নি কোনো নারীর।

নবগঠিত এই মন্ত্রিসভা পুরোটাই জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের নিয়েই গঠিত হয়েছে। যারা কয়েক দশক ধরে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

জাতিসংঘের কালো তালিকায় থাকা তালেবান আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ এই মন্ত্রিপরিষদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

যাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে, তিনি হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। দীর্ঘদিন ধরেই যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় আছেন।

মঙ্গলবার ঘোষিত এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বারাদার।

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুবকে করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী।  এই সরকারে দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল সালাম হানাফি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমির খান মুক্তাকীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাখা হয়েছে মোহাম্মদ ইয়াকুবকে।

তালেবান সরকারের আইনমন্ত্রী করা হয়েছে আব্দুল হাকিম শারিকে। সীমান্ত ও উপজাতিবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে মোল্লা নুরুল্লাহ নূরকে। এ ছাড়া গোয়েন্দা শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোল্লা আব্দুল হক ওয়াসিককে।  অর্থমন্ত্রী (ফিন্যান্স) হিসেবে মোল্লা হেদায়েতুল্লাহ বাদরির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

অর্থনীতিবিষয়ক (ইকোনমি) মন্ত্রী করা হয়েছে কারি দীন মোহাম্মদ হানিফকে।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বানানো হয়েছে হাজি মোহাম্মদ ইদরিসকে।

এদের মধ্যে শুধু আব্দুল গনি বরাদার মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিতি। অন্যরা সবাই কট্টরপন্থী।

এরই মধ্যে আফগানিস্তানে ইসলামিক নিয়মবিধি এবং শরিয়া আইন সমুন্নত রাখতে নতুন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা।

দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা এবং শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান তিনি।

তালেবানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি ও মন্ত্রিসভা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালেবান সরকারের কর্মাকাণ্ড সার্বক্ষণিক নজর রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে সতর্কতা জারি করে মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।