তালেবান ও অন্যান্য সকল পক্ষকে আফগানিস্তানে জীবন রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ সংযম রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষ উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি।
রোববার তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে চলে যান। মার্কিন নেতৃত্বে উৎখাত হওয়ার দুই দশক পরে আবারও দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবানরা।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক বলেন, সেখান থেকে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, গুতেরেস বিশেষ করে নারী ও মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাদের কষ্টে অর্জন করা অধিকার সুরক্ষিত হওয়া উচিত।
দুজারিক বলেন, সব ধরনের হয়রানি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সব জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তালেবান ও অন্যান্য সবগুলো দলকে আহ্বান জানাই।
আফগানিস্তান নিয়ে সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিফ করবেন গুতেরেস। গত ৩ আগস্ট ১৫ জন কাউন্সিল সদস্য একমত হয়ে ঘোষণা করেন যে তারা ইসলামী আমিরাতের পুন:স্থাপন সমর্থন করেন না।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত ঘুলাম ইশাকজাই বলেন, আমি আজ কাউন্সিলকে বার্তা পাঠিয়েছি যে, আরও সহিংসতা রোধ করার জন্য এবং একটি ক্রান্তিকালীন সরকারে সুশৃঙ্খল রূপান্তর নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে হবে।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়। সবার আশঙ্কা, ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে যেসব মানবাধিকার অর্জন করা গিয়েছিল এখন তা আবার হারিয়ে যাবে।
১৯৯০ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন জীবনে নারীদের পুরোপুরি বোরকা পরতে বাধ্য করা হতো, ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিলো এবং প্রকাশ্যে ফাঁসিসহ নৃশংস শাস্তির ব্যবস্থা ছিলো।