চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তারেক রহমান পলাতক কি না? রায় ২৬ জুন

বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক কি না- এমন প্রশ্নে আগামী ২৬ জুন সিদ্ধান্ত জানাবেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালতে তারেক এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর  রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হিসাব বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক ও জোবাইদা ১৫ বছর আগে হাইকোর্ট পৃথক তিনটি রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

১৫ বছর পর গত ২৯ মে সে তিন রিটের রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে। তবে আইনের দৃষ্টিতে তারেক রহমান পলাতক বলে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াতে  পারেন কি না—তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন রাখে দুদক। সেই প্রশ্নে পরবর্তীতে হাইকোর্টে কয়েকদিন শুনানি হয়।

শুনানিতে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘তিনটি মামলায় তারেক রহমান দণ্ডিত হয়েছেন। তার সাজা পরোয়ানা এখনো ঝুলছে। যদি তিনি দণ্ডিত না হতেন আর মামলাগুলোর বিচার শেষ না হতো, তাহলে ভিন্ন কথা। তারেক রহমান এই মামলায় পলাতক। আবার একই মামলা বাতিল চেয়ে জোবাইদা রহমানের  আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ গত ১৩ এপ্রিল রায় দেন।

সেই রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, ‘জোবাইদা রহমান পলাতক। পলাতক বলে তাদের পক্ষে আইনজীবী শুনানি করতে পারেন না। এটাই আমরা চাচ্ছি।’

তারেক- জোবাইদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টকে বলেন, ‘এই মামলাটি ভ্রূণ অবস্থায়। এখনো অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। তাই আত্মসমর্পণ করার পর্যায়ে আসেনি। আর জোবাইদা রহমানের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করা হবে। আর তারেক রহমান যখন রিট করেন, তখন তিনি পলাতক ছিলেন না। কোনো মামলায় কেউ দণ্ডিত হলে বিচারাধীন অপর মামলায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পলাতক হয়ে যাবেন এমন কিছু আইনে দেখছি না।’