সড়ক দুর্ঘটনা অকালেই কেড়ে নিয়েছিল বাংলাদেশের দুই প্রতিভাবানের প্রাণ। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট শুটিং স্পট থেকে ফেরার পথে মানিকগঞ্জে প্রাণ হারান বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং সাংবাদিক মিশুক মুনীর।
১৯৫৭ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নুরুন নাহার মাসুদ ও মশিউর রহমান মাসুদের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক এবং গীতিকার তারেক মাসুদ।
২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাটির ময়না’ তার প্রথম চলচ্চিত্র যার জন্য তিনি ২০০২-এর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টর’ ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন এবং এটি বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কারেও মনোনীত হয়।
তার পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সোনার বেড়ি’ যেটা মুক্তি পায় ১৯৮৫ সালে এবং সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে’ মুক্তি পায় ২০১০ সালে। ২০১২ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক প্রদান করা হয়।
স্ত্রী মার্কিন নাগরিক ক্যাথরিন মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন তারেক মাসুদ। যার নাম অডিওভিশন। চলচ্চিত্র নির্মাণ ছাড়া তারেক মাসুদের আগ্রহের বিষয় ছিল লোকসঙ্গীত এবং লোকজ ধারা।
সাংবাদিক মিশুক মুনীর শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর মেজ ছেলে। তার জন্ম নোয়াখালী জেলায়, তিনি একাধারে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক, চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাহক। মিশুক মুনীরের স্ত্রীর নাম মঞ্জলী কাজী।
মিশুক মুনীরকে বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ বলা হয়। ২০১০ সালে মিশুক মুনীর এটিএন নিউজে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও তিনি লিবিয়ার সংকটের সময় সে দেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের সংবাদ সংগ্রহ করতে নিজেই ছুটে যান।