২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের পর দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা তা নির্ভর করছে সংস্থাটির সঙ্গে সরকারের সর্ম্পকের ওপর। তারেকের নামে নোটিশ জারি করার পরে এমনটাই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির পরের প্রক্রিয়া হলো তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেপ্তার করা। তবে বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করা তারেক রহমানকে কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনা হবে তা নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি নির্ভর করছে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইন্টারপোলের সম্পর্কের উপর।
এরআগে মামলার অন্যতম আসামী তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ পুলিশের সদরদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, মামলার ‘ওয়ারেন্ট ইস্যু’ ইন্টারপোলকে দেওয়ার পরেই তাদের ওয়েবসাইটে ‘রেড নোটিশ’ জারির বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়।
ইন্টারেপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির গুরুত্ব কতটুকু? এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শহীদুল হক বলেন, এটাকে (রেড নোটিশ) আমি একটা ‘ওয়ারেন্ট ইস্যুর’ মতোই দেখি।
দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনার করে বাংলাদেশ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে কিনা বা যুক্তরাজ্যেই তাকে সে দেশ থেকে বের করে দিতে পারে কিনা? শহীদুল হক এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান, সেটা নির্ভর করে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে ইন্টারপোলের সম্পর্কের উপর। ইন্টারপোল যেহেতু নিজে কাউকে গ্রেপ্তার করে না, তাই ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উপরই তারেককে দেশে ফেরানো বা বের করে দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় ৫২ জন আসামীর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৯ জনই পলাতক। হামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী।