নিহত জঙ্গি তামিম চৌধুরি ও গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেমদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নব্য জেএমবি’র সূচনা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় সিটিটিসির ২টি টিম রাজধানীর সেনপাড়া পর্বত এলাকা থেকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একাংশের আমির মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুরকে(৬০) গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার সকালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আবুল কাশেম স্বপরিবারে অনেক আগে থেকেই পুরাতন জেএমবি’র সাথে জড়িত ছিল। সে নব্য জেএমবি’র বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে তার মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ প্রদান করে দলটিকে হিংস্র করে তোলে।
একই সঙ্গে সে ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কিত বেশকিছু বই লিখেছে যা নব্য জেএমবি’র প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্যভূক্ত ছিল। তার লেখা নামে-বেনামে বইগুলোর মধ্যে রয়েছে দাওলার আসল রুপ, জিহাদ কেন করবেন, ইসলামি বসন্ত ইত্যাদি।
২০০৯ সালে জেএমবি’র একাংশের আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর সে বিদ্রোহী অংশ (নিও জেএমবি’র) আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
নব্য জেএমবি’র প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ নব্য জেএমবি’র গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতাও তার অনুরক্ত ছিল।