নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। নির্বাচিত হলে ঐতিহ্যের ঢাকাকে গড়ে তুলতে নানা অঙ্গীকার করেছেন তাপস; আর হামলা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ইশরাক।
শনিবার মিছিল শ্লোগানে জমে উঠেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার। দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পথসভা দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের জনসংযোগ শুরু করেন। দিনভর যাত্রাবাড়ির বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের কাছে নৌকায় ভোট চেয়েছেন তাপস ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেবক হয়ে ঢাকাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস ঢাকা দক্ষিণে এই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর।
পথসভায় শেখ তাপস বলেন: আমরা নির্বাচিত হতে পারলে আগামী ৫ বছর ঢাকাবাসী মৌলিক নাগরিক সেবাসহ ঢাকাবাসীর জন্য ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আমরা সততা-নিষ্ঠা এবং একাগ্রচিত্রে একটি পরিকল্পনার আওতায় আমরা নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাবো, সেবা করে যাবো।
নৌকার ওই প্রার্থী আরও বলেন: আমাদের এই প্রাণের ঢাকাকে উন্নত ঢাকা, আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা গড়ে দিব। এবং যে উন্নত বাংলাদেশ স্বপ্ন আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। সেই উন্নত বাংলাদেশ রাজধানী হবে উন্নত ঢাকা।
অন্যদিকে পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে নবম দিনের জনসংযোগ শুরু করেন দক্ষিণে বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। অংশ নেন বাবু বাজার ব্রিজের নিচের পথসভায়। হামলার ভয়ে ভীত না হয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। দিনভর পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান ইশরাক।
প্রচারণায় ভোটারদের মাঝে প্রতিশ্রতির হিসেবে তিনি বলেন: সিটি নির্বাচনে জয়ী হলে ঢাকা ওয়াসাকে সঙ্গে নিয়ে আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসব। বিশুদ্ধ পানির জন্য ওয়াসার সঙ্গে বসে সঞ্চালন লাইন প্রতিস্থাপন করব। যথাসময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে যথাযোগ্য মানের ওষুধ প্রয়োগ করে এডিস মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণের বিস্তার রোধ করব।
প্রচারণা কার্যক্রমে হামলা ও ভয়-ভীতির বিষয়ে নির্বাচনে কমিশনে জানানোর পরেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন।