চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের যুদ্ধবিমান

দ্বিতীয় দিনের মতো নিজেদের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে তাইওয়ান।

রোববারের ওই অনুপ্রবেশের ঘটনায় ১৫টি উড়োজাহাজ অংশ নেয়। এরপর আবার একই ধরনের আরেকটি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

চীন তাইয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবেই বিবেচনা করে, কিন্তু তাইওয়ান নিজেকে সার্বভৌম রাষ্ট্র মনে করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানের প্রতি জো বাইডেনের কতটুকু সমর্থন আছে সেটিই পরীক্ষা করে দেখছে চীন।

বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তাইওয়ান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের করা প্রথম মন্তব্যে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষায় সহায়তার বিষয়ে আমরা ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’।

সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চল এবং দেশটি নিয়ন্ত্রিত প্রাতাস দ্বীপের মাঝের জলসীমা দিয়ে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে চীন।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার তাদের দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় চীনের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম আটটি বোমারু উড়োজাহাজ, চারটি ফাইটার জেট এবং একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী উড়োজাহাজ প্রবেশ করে।

রোববারের অভিযানে ১২টি ফাইটার, দুটি সাবমেরিন বিধ্বংসী উড়োজাহাজ এবং একটি পরিদর্শনের কাজে ব্যবহৃত উড়োজাহাজ ছিল বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। দুই দিনেই তাইওয়ানের বিমান বাহিনী বিমানগুলোকে সতর্ক করে সরিয়ে দিয়েছে এবং সেগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।

১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে চীন এবং তাইওয়ানের আলাদা সরকার রয়েছে। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড সীমিত করতে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করে আসছে চীন। আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে দুই পক্ষই প্রতিযোগিতা করে আসছে।

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে এবং দ্বীপটিকে আবারো নিয়ন্ত্রণে পেতে শক্তি ব্যবহারের প্রচেষ্টাও বাদ দেয়নি চীন।