তোফার চেয়ে তহুরা বেশ দুষ্টু হইছে। ও হাসে খেলে, মুখ দিয়ে শব্দ করে কথা বলতে চায়। আর তোফা কিছুটা চুপ হয়ে থাকে। তবে ভালো আছে দুজনই।
মেয়েদের স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা বলছিলেন তোফা-তহুরার মা সাহিদা।
রোববার চ্যানেল আই অনলাইনকে সাহিদা বলেন: ওরা দুজনই আগের চেয়ে ভালো আছে। দুজনকে বুকের দুধসহ স্বাভাবিক খাবার দিচ্ছি।
স্বাস্থ্যের উন্নতি হলেও এখনও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে তোফা তহুরাকে। যে কোন ধরনের সংক্রমণ এড়াতে বাইরের কারও প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কবে নাগাদ ওদের কেবিনে স্থানন্তর করা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন তোফা-তহুরার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডা. সাহনূর ইসলাম।
শিশু সার্জারি বিভাগের এ সহযোগী অধ্যাপক বলেন: আগের দুদিনের চেয়ে ওরা ভালো আছে। এই বয়সের একটি শিশু যে ধরনের খাবার গ্রহন করে ওদেরকেও সে ধরনের খাবার দেওয়া হচ্ছে। খাবারের ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি।
‘তবে কবে নাগাদ ওদের কেবিনে নেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
পিঠের নিচ থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে জন্ম নেওয়া ১০ মাসের শিশু তোফা-তহুরাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
১ আগস্ট ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল দীর্ঘ নয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে জোড়া লাগানো তোফা ও তহুরাকে আলাদা করেন। অস্ত্রোপচারের পর জ্বর, সংক্রমণসহ কিছু জটিলতা দেখা দেয় ওদের। তবে এখন দুজনই অনেকটা ভালো আছে বলে জানিয়েছেন তাদের ডাক্তার সাহনূর ইসলাম।
তোফা-তহুরা যেভাবে জোড়া লাগানো ছিল, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’। দেশে ‘পাইগোপেগাস’ শিশু আলাদা করার ঘটনা এটাই প্রথম।
এর আগে যেসব শিশুদের আলাদা করা হয়েছিলো তাদের ধরণ আলাদা ছিলো। দেশে অন্যান্য হাসপাতালে তিন জোড়া শিশুকে আলাদা করা হয়েছে।