তল্লাশির নামে পুলিশের হয়রানি বা চাঁদাবাজি নতুন কোনো ঘটনা নয়। এ ঘটনা মধ্য যিনি গিয়েছেন তিনিই ভালোই বলতেন পারবেন। সাংবাদিক দেব দুলাল গুহ তার স্ট্যাটাসে তেমনি এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন: আর্মি স্টেডিয়াম থেকে ফেরার পথে পুলিশের হয়রানির শিকার হলাম। ঘটনা ঘটে রাত আনুমানিক ২:৩০-২:৪৫ এর মধ্যে। একাই ছিলাম সিএনজিতে। বনানীতে নিয়মিত চেকপোস্টে থামালেও টর্চ মেরে মুখ দেখেই ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু মহাখালী ফ্লাইওভার পেরিয়ে এসে একটা এলাকায় আরেকটা পুলিশের ভ্যান গাড়ি থামায়।
সিএনজি চালক থামাতে বাধ্য হয়। একজন পুলিশ এগিয়ে এসে টর্চ ফেলে পরিচয়, নাম, কোথা থেকে এসেছি, কোথায় যাচ্ছি জানতে চায়। আমি সুন্দরভাবে সঠিক সঠিক জবাব দেই, আইডি দেখতে চাইলে সাথে থাকা আইডিও দেখাই। সাথে কেউ নেই, পকেটে সিগারেটের প্যাকেট পর্যন্ত নেই। তবুও সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, তল্লাশির নামে ভোগান্তি শেষে মানিব্যাগ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিনি আরো লিখেছেন: আমি প্রতিবাদ করলে প্রচন্ড বাজে ব্যবহার করে। তখন আরেক পুলিশ এগিয়ে এসে আইডিটা আবার দেখে টাকা ফিরিয়ে দেয় এবং চলে যেতে বলে। নাম আর পদবি জিজ্ঞেস করলে প্রথম পুলিশ উল্টো আমার নাম জানতে চায়। বলার পর সে খুব তাচ্ছিল্যভরে নিজের নাম বলে বদিউল আলম বা রহমান, কন্সটেবল, তেজগাও থানা। আমার ধারণা সে ভুল তথ্য দিয়েছে। নিয়মিত পোষাকের ওপর জ্যাকেট পড়া ছিল বিধায় নাম বা পদবি দেখা সম্ভব হয়নি।
নিরাপত্তার নামে এমন হয়রানির খবর শুনেছি আগেও, আজ প্রথম নিজে শিকার হলাম। সিএনজি ড্রাইভার জানালো, এই এলাকায় এটা তাদের নিয়মিত ধান্দা। আগে ১০-২০ দিলে চলতো, এখন ৫০-১০০ এর কমে কথা নাই। সাধারণ মানুষের সাথে যা হয়, তার কাছে নাকি আমারটা কিছু না। আমি বললাম, তুমি যদি জানোই, তাহলে থামালে কেন? সে বললো, না থামালে পিছন থেকে চাকায় গুলি করে! সেই অর্ডারও নাকি তাদেরকে দেয়া আছে।
সব পুলিশ যে এরকম, আমি তা বিশ্বাস করি না। বরং আমি মনে করি এমন কিছু ধান্দাবাজের জন্যই পুলিশের বদনাম হয়। দেশটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন এমন অভিজ্ঞতায় ধূসর থেকে ধূসরতর হয়ে যায়।