আগের দশ ম্যাচের আটটিতেই হার। একের পর এক হারে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। নিচের দিক থেকে দুই নম্বরে তারা। বুধবার আরেকটি হারের শঙ্কা জাগিয়ে খাদে পড়তে পড়তে শেষপর্যন্ত জিতেই মাঠ ছেড়েছে দলটি। টপ ও মিডল অর্ডারের কল্যাণে খাদের কোনা ছুঁয়ে তারা জিতেছে ১ উইকেটে।
প্রাইম দোলেশ্বরের দেয়া ২৫১ রানের লক্ষ্য টপকাতে এক বল হাতে রেখে জয় পায় ব্রাদার্স। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের দুজনই রান পেয়েছেন। জুনায়েদ সিদ্দিকী ১৫ রানে আউট হলেও আরেক ওপেনার মিজানুর রহমান করেন ৪২ রান। দলের জয়ে অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ফজলে মাহমুদের। তার ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ে ভিত পায় দল।
ফজলে মাহমুদের এমন ইনিংসের পরও অবশ্য বেকায়দায় পড়েছিল ব্রাদার্স। কারণ দ্রুতই ভারতীয় ব্যাটসম্যান দেবব্রত দাস ৬ ও ইয়াসির আলি ফেরেন ৫ রান করে। শেষদিকে দুটি ভালো ইনিংস খেলেছেন শরিফুল্লাহ ও মোহাম্মদ শাহাজাদা। প্রথমজন ৪১ ও দ্বিতীয় জনের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ২৯ রান।
এই দুজন আউট হওয়ার তিন ওভারে আরও চার উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে দল। তার মধ্যে ৪৯তম ওভারে আউট হন দুজন। বাকি কাজটুকু কষ্টে হলেও শেষ করেছেন লেজের ব্যাটসম্যানরা।
দোলেশ্বরের হয়ে আরাফাত সানি চারটি ও এনামুল হক জুনিয়র নেন তিন উইকেট।
প্রাইম দোলেশ্বরের আড়াইশ রানের স্কোরে সবচেয়ে বড় অবদান তাইবুর রহমানের। ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। রান বল কাছাকাছি হলেও তার ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের মার।
তাইবুরের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন মার্শাল আইয়ুব। ৬১ বলে তিনি করেন ঠিক ৫০ রান। ওয়ানডাউনে নেমে ৪০ রান করেন ফরহাদ হোসেন। দলের স্লো রানের চাকায় শেষদিকে গতি বাড়ান মাহমুদুল হাসান। ৩৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।
ব্রাদার্সের হয়ে দুই উইকেট নিয়ে সফল বোলার বিশ্বনাথ হালদার। এছাড়া মোহাম্মদ শাহাজাদা, শরিফুল্লাহ ও ইয়াসির আলি একটি করে উইকেট নেন।