টেগোর কভারস। একটি সংগঠন। পাঁচ তরুণ—অভিক দেব, শারদ প্রতীতি, নাশরো নাজিয়াত, আদ্রিনা জামিলি, শুভানন রাজিত। তারা সবাই গান শিখেছেন একসঙ্গে। সুরের ধারায়। রবীন্দ্রসংগীত। একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে গান করেছেন তারা। কিন্তু একটা গান নিয়ে নিজেদের মনের মাঝে আলাদা আলাদা ভাবে নানা ভাবনা কাজ করে। গানটা তো শেখা হয়েছে একভাবে, কিন্তু গানটা তারা নিজেরা কীভাবে শুনতে চান কিংবা গাইতে চান? এমনি ভাবনা থেকে গড়ে ওঠে সংগঠনটি। আর তার যাত্রা শুরু হয় গত বছর পঁচিশে বৈশাখ, রবীন্দ্রজয়ন্তিতে। পরদিন ইউটিউবে আসে টেগোর কভারসের প্রথম নিবেদন, ‘ট্রিবিউট টু টেগোর’। প্রেম পর্যায়ের তিনটি গান—‘ভালোবেসে সখী’, ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’ আর ‘তুমি রবে নিরবে’। আর গানটি তারা গেয়েছেন একসঙ্গে। এর আরেক নাম মেডলি।
এবার পহেলা বৈশাখের পর আরেকটি মেডলি গেয়েছে টেগোর কভারস। এবার একসঙ্গে দুটি গান—‘আগুনের পরশমনি’ আর ‘হিমের রাতে ওই গগনের’। এর শিরোনাম দিয়েছে ‘ইলুমিনেটিং সোলস’। অভিক দেব জানান, সামনে আসছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খেয়াল অঙ্গের গান। এখানে মেডলি করা হয়েছে ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’ আর সঙ্গে এর মূল গানটি নিয়ে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে অভিক দেব বলেন, ‘আমরা চাই এ সময়ের শ্রোতারা রবীন্দ্রসংগীত শুনুক। আর গানগুলো কথা ও সুর ঠিক রেখে তাদের মতো করেই তুলে ধরেছি আমরা।’
এরই মধ্যে টেগোর কভারসের গানগুলো শ্রোতাদের কানে লেগেছে। তারা পছন্দ করছেন। অনেকেই ভেবেছেন, হয়তো এই ছেলেমেয়েগুলো ভারতের কলকাতার। আর তাদের ভাবনাগুলো একদম অন্যরকম।
এই পাঁচ তরুণের গানের গুরু রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা টেগোর কভারসের কাজকে খুব প্রশংসা করেছেন। তার মন্তব্য, ‘অনেকে তো না শিখে, না জেনে, না বুঝে ইচ্ছা মতো গেয়ে যাচ্ছে। সেদিক থেকে ওরা একেবারেই আলাদা। গানটা খুব ভালোভাবে শিখেছে। তাই তাদের কাজেও থাকছে এর ছোঁয়া।’
টেগোর কভারসের দুটি গান :