কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সাধারণ জনগণ।
স্বাধীনতা দিবসের প্রতিযোগিতায় একক ও দ্বৈত নৃত্যে বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার নেয়ার কথা ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাধারণ ইতিহাসের ২য় বর্ষের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর। তা আর হয়ে ওঠেনি মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, আজকে তনুর সাথে এমন হয়েছে, হয়তোবা কোনো একদিন আমাদের সাথেও হবে। তাই আমাদের উচিত সবাই এক হয়ে তনু হত্যার বিচার চাওয়া।
হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পরও কোন অপরাধী ধরা পড়েনি। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের। গণজাগরণ মঞ্চ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ রাজপথে নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন।
বিক্ষোভকারীদের এক শিক্ষার্থী বলেন, যে তনুর তিনটি পুরস্কার নেওয়ার কথা ছিলো, তার পুরস্কার এখন কে নেবে? আমাদের একটাই দাবি, তনু হত্যার আসল খুনিরা বের হোক এবং আইনের মাধ্যমে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।
রহস্য উৎঘাটনে সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
কুমিল্লা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবদুর রব বলেন, আমাদের যতো রকমের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেই পদক্ষেপগুলো নিয়েছি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা ছায়া তদন্ত করছে অন্যান্য সংস্থাও বসে নেই।
রোববার রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের পাহাড় হাউসের কাছের জঙ্গলে পাওয়া যায় সোহাগী জাহান তনুর লাশ। পরদিন তার বাবা ইয়ার হোসেন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।