অবশেষে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আড়াই মাস পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সিআইডিকে প্রদান করেছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। রোববার সকাল ১১টায় প্রতিবেদনটি আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তনুর ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম ময়নাতদন্তে চিকিৎসকরা তনুর দেহে ধর্ষণের আলামত না পেলেও সংগৃহীত আলামতের ডিএনএ পরীক্ষা করে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) জানায়, খুন হওয়ার আগে ধর্ষিত হয়েছিলেন তনু। পরীক্ষায় অন্তত ৩ ব্যক্তির বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
সিআইডি তনুর ডিএনএ প্রতিবেদনের মূল কপি পাঠায় কুমিল্লার আদালতে। তাদের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে প্রতিবেদন সরবরাহ করা হবে।
এর পর আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়। দেড় মাস পার হয়ে গেলেও এতদিন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি ময়না তদন্তকারী দল।
এর কারণ হিসেবে কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, সিআইডির ডিএনএ রিপোর্টটি হাতে পেলে বোর্ডের পক্ষে তনু ধর্ষিত হয়েছেন কিনা, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। এজন্যই ময়নাতদন্তকারী বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদন প্রস্তুত করা জন্য কিছু সময় চেয়েছে। সিআইডি তনুর ডিএনএ প্রতিবেদন সরবরাহ করতে গড়িমসি করছে বলেও ওই সময় দাবি করেন ময়নাতদন্ত দলের প্রধান।