মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর মামলায় আপিলের উপর যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ৮ মার্চ।
যুক্তি উপস্থাপনের শেষ দিন আবারও প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মীর কাসেম আলীর নামে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী সংস্থা ও মামলা পরিচালনাকারী প্রসিকিউশনের কঠোর সমালোচনা করেন। বলেন, অন্যান্য মামলার চেয়ে এ মামলার তথ্য-প্রমাণের অনেক ঘাটতি আছে, এজন্য তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনকে কাঠগড়ায় নেয়া উচিত।
এ মামলা দায়সারাভাবে করা হয়েছে বলেও প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন।
এ সম্পর্কে এটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ। আদালতের পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে তো আমার কোনো বক্তব্য থাকতে পারে না।’
আসামীপক্ষের পাল্টা জবাবের সময় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরাই আলবদর হয়েছে, যারা ছিল একটি কিলিং স্কোয়াড। এর দায় এড়াতে পারেন না আসামী।
আসামীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের দাবি, মামলাটি মীর কাশেমের বিরুদ্ধে প্রমাণ করার জন্য আইনগতভাবে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকা দরকার তা নেই। সুতরাং এক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে না। সর্বোচ্চ বেনিফিট অব ডাউট পেতে পারেন তিনি।
এটর্নি জেনারেল বলেছেন, এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের সময় আপিল বিভাগ যে মন্তব্য করেছেন তা রায়ে প্রতিফলিত হলে ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
এর আগে মঙ্গলবার মীর কাসেম আলীর মামলাসহ যুদ্ধাপরাধ অভিযোগের অন্যান্য মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও তদন্ত সংস্থার অদক্ষতা, অযোগ্যতা এবং দুর্বলতার জন্য তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। আপিল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি পেশ করার সময় আদালত এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।