ডিবি পরিচয়ে অপরাধ করলে তার তদন্ত করে শাস্তির কথা জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
কোতয়ালি এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ৫২ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার ৪ ডাকাতের বিষয়ে জানাতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাসুদ গাজী, মো. ইদ্রিস ওরফে বাবু ফরাজী, মো. আসাদ ও মো. ফারুক আহম্মেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় আসামী মাসুদ গাজীর হেফাজত থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং টাকা ভাগাভাগির সময় অন্যান্য আসামীর নিকট থেকে ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ডিবি পরিচয়ে কেউ কোনো অপরাধ করলে অবশ্যই তদন্ত করা হবে। যদি অপরাধের প্রমাণ মিলে তাহলে শাস্তি দেওয়া হবে।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, আমরা সব সময়ই গার্মেন্টস অথবা ব্যাংকের মালিকদের বড় অংকের টাকার লেনদেনের সময় স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তা নিতে বলছি। কিন্তু তারা সহায়তা নিচ্ছেন না। এ ধরনের ছিনতাই, ডাকাত, অপহরণ চক্রের সদস্যরা বড় অংকের টাকা লেনদেনের সময় টার্গেট করে ওত পেতে থাকে।
তিনি বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর কোতয়ালীর রায় সাহেব বাজারের পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারের সামনে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫১ লাখ ৬৭ হাজার ডাকাতি হয়। ১০-১১ জন ডাকাত এসে এ ঘটনা ঘটায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। এরা এর আগেও ভুয়া ডিবি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও অপহরণ করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা আবার ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।