রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টে সন্দেহভাজন ধর্ষক মজনুর সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংগৃহীত নমুনার সঙ্গে তার ডিএনএ মিলে গেছে।
সিআইডির ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাপড় থেকে আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। সেখানে দুটি প্রোফাইল পাওয়া যায়। একটি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ও অপরটি মজনুর। আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে সিআইডির রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি।’
মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, ‘পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে গত ২১ জানুয়ারি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন তারা পেয়েছেন। সেখানে মজনুর ডিএনএ নমুনার সঙ্গে ধর্ষিত শিক্ষার্থীর বিভিন্ন আলামত থেকে যে সব নমুনা নেওয়া হয়েছে তার মিল পাওয়া গেছে।’
গত ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার পরদিন ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ৮ জানুয়ারি শেওড়া রেল ক্রসিং এলাকা থেকে ৩০ বছর বয়সী মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে মজনু পেশা হিসেবে দিনমজুরি ও হকারির কথা বললেও তিনি ‘ছিনতাই, রাহাজানি, চুরির মতো কাজেও’ জড়িত ছিলেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, মজনু ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। তিনি বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক নারীদের ধর্ষণ করেন।
গ্রেপ্তারের পর মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৪৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। ওই শিক্ষার্থীও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর ডিএনএ টেস্টেও ধর্ষণে মজনুর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
মজনু বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।